ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেই দ.আফ্রিকায় শিরোপা পুনরুদ্ধার মিশন যুবাদের

সেই দ.আফ্রিকায় শিরোপা পুনরুদ্ধার মিশন যুবাদের

২০২০ সাল। করোনা শুরুর ঠিক আগের কথা। যুব বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বিশ্বকাপ, তাই সেভাবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল না এই আসর। কিন্তু হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ, ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ নিয়েছে যুবারা। প্রথমবার ক্রিকেটের কোনো বিশ্ব আসরের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে বাংলাদেশ। সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারও বিশ্বকাপ খেলতে গেল লাল সবুজের যুবারা। গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয় আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। স্যুট-বুটে কেতাদুরস্ত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মাহফুজুর রাব্বির দল। সদ্য এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দল বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যাশা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয় করে আকবর আলীর দল। চার বছরের ব্যবধানে এই ভার এখন রাব্বিদের কাঁধে। সাবেক ভারতীয় ব্যাটার ওয়াসিম জাফর এই যুবাদের নিয়ে কাজ করছেন দুই বছর ধরে। যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের যুবারা চাপমুক্ত আছেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ভারতীয় কোচ। এই দল নিয়ে তার প্রত্যাশাও অনেক, ‘দারুণ আবহ দলটার মধ্যে। ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের গড়ে তুলেছে। যে জায়গায় আমরা ওদের দেখতে চেয়েছি, সেটা হয়েছে।’ ‘ওরা চাপ নিয়ে খেলুক তা চাইব না। ফল কেমন হবে তা নিয়ে যা ভাবুক। ওরা কিন্তু এভাবে খেলেই এশিয়া কাপ জিতেছে, বাংলাদেশে প্রথম কোনো দল এই অর্জন করলো। আমাদের তাই ওদের ওপর আস্থা রাখতে হবে’- আরও যোগ করেন ওয়াসিম। যুব বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। উপমহাদেশের কন্ডিশন বলে বাংলাদেশও বড় স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিষিদ্ধ হওয়ায় বিশ্বকাপ চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিছুটা সমস্যা হলেও মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন ওয়াসিম। ‘ভেন্যু বদলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে এটা ঠিক। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে উপমহাদেশের স্বাচ্ছন্দ্যটা পাওয়া যেত। কিন্তু হুট করে বদলে যাওয়ার সেটা কঠিন হবে। তবে সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমি বিশ্বাস করি এই দলের সে সামর্থ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, ভালো করার।’ প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল’য়ের অধীনে সময়টা ভালো কাটাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ২০২৩ সালটা যুবারা রাঙিয়েছে এশিয়া কাপ জয় দিয়ে। ২০২৪-এর নতুন চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ আফ্রিকায় চেনা ভেন্যু হলেও, কন্ডিশনটা কঠিন বাংলাদেশের জন্য। আবহাওয়ার সঙ্গে আছে প্রোটিয়াদের বাউন্সি উইকেটের চ্যালেঞ্জও। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘২০২৩ সালটা আমরা দারুণ কাটিয়েছি। এশিয়া কাপ জয় করেছে যুবারা। ২০২৪ সালটা বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু করব আমরা। আগের বছরের সুসময় এবছরও ধরে রাখতে চাই আমরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় চ্যালেঞ্জ সেখানকার আবহাওয়া। তাছাড়া উইকেটের ধরণ আলাদা। আশার ব্যাপার হলো যে কোনো কন্ডিশনে ছেলেরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’ ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে যুব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। বাংলাদেশ প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যাচ্ছে, যাতে কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে লড়তে পারে। বাকিটা বলে দেবে সময়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত