নেপথ্যে যে ঘটনা

ভোটকেন্দ্রে মেজাজ হারালেন সাকিব

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় তিনি। তাকে আদর্শ মেনে তরুণরা ক্রিকেটের পাঠশালায় ভর্তি হয়। দেশের সেরা তো বটেই, বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হয়েও শৃঙ্খলা ভেঙে বার বার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কখনো সতীর্থদের সঙ্গে বাজে আচরণ, কখনো মিডিয়া ও দর্শকদের সঙ্গে, বোর্ডের নিয়ম ভেঙে শাস্তিও পেয়েছেন অনেকবার। বলছি ক্রিকেটে ব্যাডবয় হিসেবে পরিচিত সাকিব আল হাসানের কথা। বিশ্বখ্যাত এই অলরাউন্ডার খেলার মাঠ থেকে সরাসরি নেমেছেন রাজনীতির মাঠে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ব্যাডবয় সাকিব যেন গুডবয় হয়ে গেলেন। খেলার মাঠে হরহামেশা মেজাজ হারালেও ভোটের মাঠে তাকে বেশ শান্তই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তীরে এসে তরী ডোবানোর মতো ঘটনা ঘটালেন সাকিব হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব গতকাল রোববার নিজের ভোট প্রদান করেছেন। সকাল ৮টায় মাগুরার দরিমাগুরা স্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোট প্রদান করেন তিনি। ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্র পরিদর্শন করছিলেন সাকিব। তখন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে সামনে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভক্ত-সমর্থকরা। অনেক তরুণ ভক্ত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। এ সময় ভিড়ের মধ্যে পড়েন সাকিব। অনেক মানুষের ভিড়ে ধাক্কা-ধাক্কির মধ্যে সাকিব ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না।

এই সময় মেজাজ হারিয়ে এক কর্মীকে চড় মেরে বসেন বাংলাদেশের ক্রিকেট আইকন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য প্রচারের সময় সাকিবকে একবারও মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি।

বয়স্ক থেকে তরুণ- সবার সঙ্গেই সাকিব মিশে গেছেন বন্ধুর মতো। মাগুরার কৃষকদের থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে সবার খোঁজ নেন। আশ্বাস দেন মাগুরাকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু এবার ভোটের দিন অনাকাঙ্ক্ষিভাবে মেজাজ হারিয়ে বসলেন মাগুরার এই নৌকার মাঝি। মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কেএম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।