ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিসিবি সভাপতি হতে যা প্রয়োজন মাশরাফির

বিসিবি সভাপতি হতে যা প্রয়োজন মাশরাফির

স্বাধীনতার পর থেকে এখন অবধি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ কে? এমন প্রশ্নে সম্ভবত বেশিরভাগ ক্রীড়াপ্রেমির উত্তর হবে মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। এবার ভক্তরা মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ ফেললেই দেখা মেলে ‘মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে চাই’ এমন মন্তব্যের।

বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন মন্ত্রী হওয়ায় এই দাবি আরও জোরালো হয়। গত বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পাপন। অনেকরই ধারণা পাপন মন্ত্রী হওয়ায় বিসিবি সভাপতি পদে এবার পরিবর্তন আসবে। তবে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন পাপন। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপন। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পরবর্তীতে মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে তিনি দেখতে চান কি না। জবাবে পাপন বলেন, ‘এটা বলা মুশকিল, প্রথম কথা হচ্ছে এটা একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আগে আসতে হবে তাকে। প্রথমে তাকে কাউন্সিলরশিপ নিতে হবে। কাউন্সিলর হওয়ার পরে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা ঠিক করবে কে সভাপতি হবে। প্রসেসটা খুব সিম্পল।’ কেবল মাশরাফিই নন, বিসিবি সভাপতি হওয়ার মতো আরও অনেকে আছেন বলে এক এক করে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটারদের নাম বলেন পাপন, ‘এখন ধরেই নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে। নতুন আরও দুজন বা একজন আসলো, এখানে সিনিয়রদের মধ্যে সিরাজ (এনায়েত হোসেন সিরাজ) ভাই আছে, ববি (আহমেদ সাজ্জাদুল আলম) ভাই, জালাল ইউনুস এবং মাহবুব আনাম আছে। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছে আকরাম খান আছে দুর্জয় (নাইমুর রহমান) আছে আমাদের সুজন (খালেদ মাহমুদ) আছে। আমি বলছি যে অনেকেই আছে। এখন তারা কাকে বেছে নেবে এটা কিন্তু বলা কঠিন। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগ নেই।’ বিসিবিতে নতুন করে দায়িত্ব নিয়েই যিনিই আসুক, তিনি বাইরের কেউ হবেন না বলে জানিয়েছেন নবমনোনীত এই ক্রীড়া মন্ত্রী, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হলে, তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডিরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন সুজনও বলেছেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নির্বাচিত সভাপতি হতে হয়। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হওয়ায় আইসিসির গাইড অনুযায়ী আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করা। যেখানে বিসিবির প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে যেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট হোক, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথমে কাউন্সিলর হতে হবে। পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হতে হবে।’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা তখন বোর্ড সভাপতি নির্বাচন করবেন। যেহেতু আমাদের আগের যে একটা প্রক্রিয়া ছিল যে সরকার থেকে মনোনীত একজন ব্যক্তি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হবেন সেই বিষয়টা এখন আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। এই বিষয়টা এখন আর প্রযোজ্য নয়। একটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বোর্ড সভাপতি হতে পারবে, যদি পজিশনটা খালি হয়।’ মাশরাফিকে এই পদে আসতে হলে প্রথমে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে। পরিচালক হওয়ার পরই আসবে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ। এদিকে পাপনের মেয়াদ আছে দেড় বছরের বেশি। তিনি আপাতত মন্ত্রীত্ব এবং বিসিবি প্রধানের কাজ একসঙ্গে সামলাবেন বলে জানা গেছে। ফলে এই মুহূর্তে পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত