হলান্ডের হৃদয় ভেঙে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ মেসি

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

গেল বছর ব্যলন ডি’অরেও তারা মেসির প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত অস্টমবারের মতো মর্যাদাপুর্ন এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাই। একইভাবে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারে ইন্টার মায়ামি তারকার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন নরওয়ের আর্লিং হালান্ড ও কাইলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ভোটাভুটিতে নরওয়ে ও ফ্রান্সের দুই তারকাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ হলেন লিওনেল মেসি। এই নিয়ে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ফিফার বর্ষসেরার খেতাব জিতলেন বিশ্বজয়ী ফুটবলার। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ হলেন মেসি। ২০১৯ ও ২০২২ সালেও তিনি ফিফা বর্ষসেরা হন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা দুই তরুণ দুর্দান্ত ফুটবলারকে টপকে বিভিন্ন দেশের ফুটবল দলের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও ফুটবল ভক্তদের ভোটে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের পরের দিন ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত ফুটবল খেলার পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার প্রদান করে ফিফা। দর্শক-সমর্থকদের চোখে সেরা মেসিই জিতেছেন সেই পুরস্কার। তবে বর্ষসেরা পুরস্কারটি জয়ের দৌড়ে সবার সামনে ছিলেন ‘ট্রেবল’ জয়ী নরওয়েজিয়ান ম্যানসিটির ফরোয়ার্ড হালান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি নিজের ঝুলিতে রাখতে পারেননি তিনি। এই দৌড়ে কঠিন লড়াইয়ে ছিলেন এমবাপ্পেও। তিনিও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। সেরার পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে মেসির সমান ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছিলেন হালান্ড। পরে ফিফার পুরস্কার বিতরণী আইন অনুচ্ছেদ ১২ অনুসারে, জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে এগিয়ে থাকার কারণে মেসিই পুরস্কারটি জিতেছেন। অপরদিকে ৩৫ পয়েন্ট পেয়েছেন এমবাপ্পে। কঠিন লড়াইয়ে এমবাপ্পে ও হালান্ডকে হারিয়ে ৮তম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতার পর ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারটিও জিতে নিয়েছেন মেসি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের পুরস্কারটি জিতলেন এই আর্জেন্টাইন। লন্ডনে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি মেসি। সঞ্চালকের ভূমিকায় নামা ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি তাঁর পুরস্কারটি নেন। মেসি ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ গ্রহণ করতে না আসায় আসরের ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই কমেছে। তবে লন্ডনে এই অনুষ্ঠানে মেসির উপস্থিত না হওয়ার কারণ জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। তারা জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামির হয়ে কোনো অনুশীলন মিস করতে চাননি বলেই মেসি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। লন্ডনে গেলে মায়ামির চারটি অনুশীলন সেশন মিস করতেন এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। প্রাক মৌসুমে ক্লাবের কোনো অনুশীলন সেশন মিস করতে চাননি তিনি। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়েছেন মেসি। ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা পর থেকেই মেসির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে তার ক্লাব ফুটবল দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে যোগ দেন মেসি। সেখানে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। মায়ামিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা এনে দিয়েছেন মেসি। জিতিয়েছেন লিগস কাপ। তবে মৌসুমের শেষটায় এসে ইনজুরির কারণে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। এবার তাই অনুশীলনে কোনো কমতি রাখতে চাননা আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির অধিনায়ক।