শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদ গুঞ্জনে নতুন মোড়

ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটেও ভাল না। সেই ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জন্মলগ্ন থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। গত দুই দশকেও যার কোনো সুরহা হয়নি। বরং বেড়েই চলেছে তিক্ততা। তবে এই বৈরীতা আটকে রাখতে পারেনি দুই দেশের দুই বিখ্যাত তারকার বন্ধন। সব বাঁধা ডিঙিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নিজ নিজ খেলার নামী দুই তারকা। সেসময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল এই দুজনের বিয়ে। অনেকেই যেমন মানতে পারেননি তাদের সম্পর্ক। আবার কেউ কেউ একে দেখেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে। কিন্তু, দীর্ঘ ১৪ বছর পর দুজনের সম্পর্কটাই এখন আছে ভাঙনের মুখে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সেই গুঞ্জনে কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন তথ্য যোগ হয়েছে। এবার স্বয়ং সানিয়া মির্জাই বিচ্ছেদের ইঙ্গিত স্পষ্ট করলেন। সম্প্রতি সানিয়া মির্জার এক পোস্ট কেন্দ্র করে নতুনভাবে শুরু হয়েছে এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের খবর। ইন্সটাগ্রামের পোস্টে সানিয়া লিখেছেন ‘বিয়ে কঠিন, ডিভোর্সও কঠিন। নিজের জন্য কোন কঠিনটা বেছে নেবেন, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত, ঋণগ্রস্থ থাকা কঠিন, স্বনির্ভর হওয়াটাও কঠিন। নিজের মতো কঠিনটা বেছে নিন আসলে জীবনে কোনো কিছুই সহজ নয়। সবটাই কঠিন। কিন্তু আমরা কোন কঠিনটা বাছব, সেটা আমাদের ব্যাপার। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন’। এ তো সাম্প্রতিক সময়ের কথা। এমন এক লেখায় সানিয়া যে নিজের বর্তমান অবস্থান বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, সেটা নিশ্চিত অনেকেই। কিন্তু, দুজনের মাঝে এমন ইশারায় করা বাক্য বিনিময় এবারেই প্রথম না। গেল বছরের আগস্টের আগেও শোয়েব মালিকের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বায়োতে লেখা ছিল, ‘হাসব্যান্ড টু এ সুপারওম্যান সানিয়া মির্জা’ (অসাধারণ নারী সানিয়ার মির্জার স্বামী)। যেটি এখন আর এই ক্রিকেট অলরাউন্ডারের বায়োতে নেই। পরিবর্তন করে তিনি লিখেছিলেন, ‘ফাদার টু ওয়ান ট্রু ব্লেসিং’ (সত্যিকারের আশীর্বাদধন্য এক বাবা)। নতুন করে শোয়েব নিজেই যেন পুরনো জল্পনা উসকে দিয়েছেন। আবার ২০২২ সালে দুজনে মিলে ওটিটি প্লাটফর্মে দ্য মির্জা মালিক শো নামের একটি আলাদা অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। আবার ছেলে ইজহানের সাঁতারের সাফল্যও দুজন একসাথেই উদযাপন করেছে। তাহলে দুজনের বিচ্ছেদের এতসব গুঞ্জন কি তবে মিথ্যে? সে কথাও বলার উপায় নেই। ২০২২ সালে শোয়েব মালিকের পরকীয়ার ইস্যু সামনে আসে, সেবার অনেকেই এর শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবে তখনও এর শেষ হয়নি। অনেকের বক্তব্য, দুজনের বিচ্ছেদ আগেই হয়েছে। তবে প্রকাশ করতে নারাজ তারা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সবকিছু নেটিজেনদের মুখরোচক গল্প পর্যন্তই থেমে আছে। আদতেই দুজনের বিচ্ছেদ হবে কিনা, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন।