ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা ঢাকার

চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা ঢাকার

বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারুণ্য-নির্ভর দুর্দান্ত ঢাকা। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কুমিল্লার দেয়া ১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নবাগত দলটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ নাঈম শেখ-দানুশকা গুনাথিলাকার দারুণ ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা করে দুর্দান্ত ঢাকা। তাদের ব্যাটে ৭৫ বলে দলীয় একশ পূর্ণ করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের অপেক্ষা করছিল ঢাকা। কিন্তু না, ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লার বোলাররা চেপে ধরে ঢাকার ব্যাটাসম্যানদের। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ঢাকার জয় এলেও হাল ছাড়েনি কুমিল্লা। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে সেট ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর আউট হলে ভয় জাগে ঢাকার শিবিরে। তখনও প্রয়োজন ৪ বলে ৩ রান। তবে ক্রিজে এসেই চতুরঙ্গ ডি সিলভার ছক্কায় ঘটে নাটকীয়তার অবসান। সঙ্গে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে ঢাকা। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন নাঈম শেখ। ৪০ বলে তার ব্যাট থেকে এই রান আসে। আরেক ওপেনার গুনাথিলাকা নাঈমকে দিচ্ছিলেন দারুণ সঙ্গ। তিনি ৪২ বলে ৪১ রান করেন। দুজনেই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেন। ওপেনিং জুটিতে ঢাকা করে ১০২ রান। এই জুটি ভাঙতেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে ঢাকা। উল্টো দিকে কুমিল্লার বোলাররা জ্বলে ওঠেন। তাতে ঢাকার রানের চাকা থেমে যায় পাশাপাশি হারাচ্ছিল উইকেট। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে আরও কিছু রানের আক্ষেপের পুড়ল কুমিল্লা। মাঝে ১৬ রান করেন ইরফান। ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন চতুরঙ্গ। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। কুমিল্লাকে ১৫০ রানের আগে আটকে দেওয়ার অন্যতম কারিগর পেসার শরিফুল ইসলাম। শেষ ওভারে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা হজম করেও টানা তিন বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন এই পেসার। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই এই কীর্তি গড়েন তিনি। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল। সমান ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। আর চতুরঙ্গ ডি সিলভার ঝুলিতে জমা হয় ১টি উইকেট। এর আগে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়ে ব্যাটে রানের ফোয়ার ছুটিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু টি-টোয়েন্টির চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারেননি এই ব্যাটাররা। তাতে প্রথম ম্যাচে ভালো অবস্থায় থেকেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অধিনায়ক লিটন দাস ১৩ বলে ১৬ রানে ফিরলে দলের হাল ধরেন ইমরুল-হৃদয়। ৮১ বলে দুজনের শতরানের জুটি পূর্ণ হয়। ইমরুলের ফিফটি আসে ৪২ বলে, শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৬৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ফিফটির কাছে থাকা হৃদয় ফেরেন ৪১ বলে ৪৭ রান করে। দুজনের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে পড়ে কুমিল্লা। শেষ দিকে মারতে গিয়ে হারাতে হয় হ্যাটট্রিক উইকেট। ৫ বলে ২ ছক্কায় খুশদিল ১৩ রান না করলে থামতে হতো আরো আগেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত