বিপিএলের এলিট ক্লাবে ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ শরিফুল

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বোতাম টিপতেই উড়ল বেলুন, ফুটল স্মোক কালার বোম। তাতে পর্দা উঠে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও দুর্দান্ত ঢাকার উদ্বোধনী খেলা শুরু হলো। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামল কুমিল্লা। প্রথম বলে ডটের পর পরপর দুই বলে খুশদিল শাহর কাছে টানা দুই ছক্কা হজম করেন ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। খুশদিলের ক্যামিওতে ১৫০ পার করার স্বপ্ন দেখছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, তখনই শরিফুল হাজির হন হন্তারক রূপে। খুশদিলসহ পরপর তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন এই পেসার। গতকাল শুক্রবার চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিকের দেখা পান শরিফুল। তাতে বিপিএলের এক এলিট ক্লাবের সদস্য হয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার এই পেসার। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার দলীয় ২৩ রানে ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। কিন্তু আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ও তিনে নামা তাওহীদ হৃদয় মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। আসরের ফিফটি তুলে নেওয়া ইমরুল শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে করেন ৬৬ রান। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪৭ রান। দুজনকেই ১৯তম ওভারে বিদায় করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। শেষ ওভারে শরিফুলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ। তবে পরের তিন বলেই তিন উইকেট তুলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। চতুর্থ বলে খুশদিল তুলে মারতে গিয়ে শর্ট থার্ড-ম্যান অঞ্চলে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন। পরের বলে শরিফুলে শিকার করেন রোস্টন চেজের উইকেট। শরিফুলের অফসাইডের বাইরের শর্ট বলে পুল শট খেলতে চেয়েছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটার চেজ। কিন্তু বল উপরে উঠে গেলে ডিপ মিড অঞ্চল থেকে অনেকটা দৌড়ে গিলে তালুবন্দি করেন নাঈম শেখ। শেষ বলটি ছিল স্লোয়ার, যা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট ছুঁয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক ইফরান শুক্কুরের হাতে। সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন শরিফুল। ২০১২ বিপিএলে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন মোহাম্মদ সামি। দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খেলা এই সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার সেদিন ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন।

বিপিএলের হ্যাটট্রিকম্যান যারা

আল আমিন হোসেন (বরিশাল বুলস)

প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস (২০১৫)

আলিস আল ইসলাম (ঢাকা ডায়নামাইটস)

প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স (২০১৯)

ওয়াহাব রিয়াজ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস)

প্রতিপক্ষ খুলনা টাইটানস (২০১৯)

আন্দ্রে রাসেল (ঢাকা ডায়নামাইটস)

প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিং (২০১৯)

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)

প্রতিপক্ষ সিলেট সানরাইজার্স (২০২২)

শরিফুল ইসলাম (দুর্দান্ত ঢাকা)

প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২০২৪)