ঢাবি জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শাহীন ও খালিদ যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এতে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহীন আলম এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. খালিদ মহিবুল্লাহ। রানার্স-আপ হয়েছেন ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আলমগীর হোসেন। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। একইদিন খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।’ শিক্ষার্থীরা হলের ঐতিহ্যের স্মারক ভবিষ্যতেও বহন করে চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেধাচর্চার ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে শরীর চর্চা ও ক্রীড়া কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে। জ্ঞানচর্চার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।

জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নিতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৮টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেন।