ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তামিম-নাজিবউল্লাহর ব্যাটে চট্টগ্রামের তিনে দুই

তামিম-নাজিবউল্লাহর ব্যাটে চট্টগ্রামের তিনে দুই

কুয়াশায় ঢাকা দিনে মন্থর উইকেটে দুর্দান্ত ঢাকাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন কনকাশন বদলি নামা লাসিথ ক্রসপুল। তবে লড়াই শেষ পর্যন্ত হয়নি। তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু পর শেষ দিকে ঝড় তুলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। গতকাল সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম।

টস জিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঝড় তুলেছিলেন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। শরীফুল ইসলামের করা ওভারটি থেকে তিনটি চার ও অতিরিক্ত ৭ রানে ১৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। তবে ঘটনাবহুল ওভারের শেষ বলে ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান বাঁ-হাতি এ পেসার। পরে নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেটকিপার ব্যাটার ইমরানুজ্জামানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তানজিদ তামিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিংয়ে তাদের জুটির রান পঞ্চাশ পেরোয়। যদিও ব্যক্তিগত ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে জুনিয়র তামিমকে। তাসকিন আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাভারে ধরা পড়েছেন তিনি।

তার আগে করেছেন ৪০ বলে ৪৯ রান। এ ছাড়া ৩১ বলে ২২ রান করেন শাহাদাত দিপু। চট্টগ্রামের বাকি কাজটুকু সারেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন আফগান ব্যাটার। ১৯ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ঢাকার হয়ে বেশ খরুচে হলেও সর্বোচ্চ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া তাসকিন ও উসমান কাদির শিকার করেছেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ঢাকার ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা।

আল-আমিনের বলটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেনি লঙ্কান এই ব্যাটার। ইনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত করে হেলমেটে। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ান তিনি। তবে বোঝা যাচ্ছিল খেলার মত অবস্থায় নেই আর। গাল থেকে রক্ত ঝরছিল। গুনাথিলাকা রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরার পর কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লাসিথ ক্রুসপুলে। যিনি ১৫ জনের স্কোয়াডেই ছিলেন না। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গুনাথিলাকার ইনজুরির পর ব্যাটিংয়ে পথ হারায় ঢাকা। সাইফ হাসান ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি। আল-আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে। পরের ওভারেই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস শুরুটা ভালো করেছিলেন কিন্তু রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। ঢাকা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছিল কনকাশন বদলি ক্রসপুলে ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় ঢাকা। তবে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় ক্রসপুলেকে। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শুভাগতকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ৪৬ রান। শুক্কুর করেন ২৬ বলে ২৭ রান। শেষ দিকে ৯ বলে ১৫ রান করে পুঁজিটা আরেকটু বাড়ান তাসকিন, যা শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না ঢাকার জন্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত