ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তোরেসের হ্যাটট্রিকে রোমাঞ্চকর জয় বার্সেলোনার

তোরেসের হ্যাটট্রিকে রোমাঞ্চকর জয় বার্সেলোনার

আলমেরিয়ার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের বিতর্কিত জয়ের দিনে গতকাল রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। এ ম্যাচে শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জাভি হার্নান্দেজের দলই। তোবে এরপরই দ্রুত বেতিসকে সমতায় ফেরান ইসকো। তবে শেষ মুহূর্তে ফেরান তোরেসের হ্যাটট্রিকে দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সা। গত রোববার রাতে রিয়াল বেতিসের মাঠে ৬ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে লিগ ম্যাচটি ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। হ্যাটট্রিক করে তাদের জয়ের নায়ক ফেরান তোরেস। তোরেসের জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল শোধ করেন ইসকো। ৯০তম মিনিটে জোয়াও ফেলিক্স বার্সেলোনাকে ফের এগিয়ে নেওয়ার পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তোরেস। পঞ্চম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। ইসকোর ক্রস বক্সে পান লুইস এনরিকে। এগিয়ে আসা গোলরক্ষক ইনাকি পেনার ওপর দিয়ে তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের চিপ শটে ওপরের জালে পড়ে বল। বল দখলে শুরু থেকে একচেটিয়া আধিপত্য করা বার্সেলোনা প্রথম সুযোগ পায় চতুর্দশ মিনিটে। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রস বক্সে খুঁজে পায় পেদ্রিকে। তোবে অরক্ষিত স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের শট ওপরের জালে পড়ে বাইরে যায়। ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ইলকাই গিনদোয়ানের শটে বল বেতিসের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে যায় বক্সে পেদ্রির কাছে। তার পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান অরক্ষিত তোরেস। ২৫তম মিনিটে সুযোগ পান রবার্ত লেভানদোভস্কি। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পোলিশ তারকার নেয়া শট পা দিয়ে ঠেকান বেতিস গোলরক্ষক রুই সিলভা। ৩৮তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে পারে বেতিস। বক্সের বাইরে থেকে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ইসকোর শট অবশ্য গোলরক্ষককে ভাবাতে পারেনি। শুরু থেকে দারুণ খেলা তরুণ লামিনে ইয়ামাল ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলছিলেন। বক্সে জায়গা বানিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক জন খেলোয়াড়রের মাঝ দিয়ে তার বাঁ পায়ের শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বল তোরেস জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। বিরতির আগে লেভানদোভস্কিও জালে বল পাঠিয়ে গোল পাননি। অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ভিএআরেও বহাল থাকে সেই সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান তোরেস। ইয়ামাল সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। বাইলাইনের কাছ থেকে তার শট পোস্টে লাগার পর বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান তোরেস। বার্সেলোনার দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। ৫৬ থেকে ৫৯ মিনিট এই সময়ের মধ্যে তাদের জালে দুবার বল পাঠিয়ে সমতা ফেরান ইসকো। প্রথমে বেতিসের একটি ক্রস পাঞ্চ করে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি পেনা। বক্সের ভেতর থেকে বুলেট গতির হাফ ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ইসকো। বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা রেফারিকে ঘিরে ধরেন। গোলের আগে পেদ্রি মাঝমাঠে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি জানান তারা। ডি ইয়ং দেখেন হলুদ কার্ড। সেই রেশ না কাটতেই দ্বিতীয় গোলটি করেন ইসকো। অনেকটা ওপরে পা তুলে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তোলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত