আবারও কিংসের কাছে হারল আবাহনী

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

মৌসুমের প্রথম সাক্ষাতেই হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে দ্বিতীয় দেখাটাও সুখকর হলো না ঐতিহ্যবাহী দলটির। গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ম্যাচে বসুন্ধরার কাছে (২-০) গোলে হেরে যায় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। এর আগে স্বাধীনতাকাপের সেমিফাইনালেও কিংসের কাছে হার মানতে হয়েছিল আবাহনীকে। লিগে পর পর দুই ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকলেও কিংসের বিপক্ষে প্রতিশোধটা নিতে পারেনি আকাশী-নীলরা। এদিন মুখোমুখি হয় ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম শক্তিধর দুই দল ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হৃদয়ের ক্রসে ছোট বক্সের মাথায় বল পেয়ে হেড নেন আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন সান্তোস। তবে দারুণ দক্ষতায় বল গ্রিপে নেন কিংসের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

পরের মিনিটে একই রকমভাবে ইরানের ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ সোলাইমানির হেডও আটকে দেন জিকো। ২৪ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রবসন রবিনহোর ক্রসে পোস্টের কাছ থেকে লাফিয়ে উঠে হেড নিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তবে আবাহনীর পোস্টের নিচেও ছিলেন দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। তাই গোল পায়নি বসুন্ধরা। ২৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মিগেল দামাসেনোর কর্ণার কিক বক্সে বা প্রান্ত থেকে হেড করেন ডরিয়েলটন। বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বাইসাইকেল কিকে লক্ষ্যভেদ করেন কিংসের অধিনায়ক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো (১-০)। ২৭ মিনিটে সুযোগ এসেছিল আবাহনীরও। বল নিয়ে বসুন্ধরার বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। তবে তপু বর্মণ বল ক্লিয়ার করেন। ৪০ মিনিটে রবিনহোর বাড়িয়ে দেয়া বলে বক্সে ঢুকে শট নেন ডরিয়েলটন। তবে গোল আদায় করে নিতে পারেননি। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় কিংস। ৪১ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে জনাথনের কর্ণার বক্সে ক্লিয়ার হয়। পরের মিনিটে হৃদয়ের কাটব্যাকে বল পেলেও ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে পড়ে যাওয়াতে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ৭২ মিনিটে আরও এক গোল আদায় করে নেয় কিংস। ডরিয়েলটন ও মিগেল দামাসেনো নিজেদের মধ্যে বল আদান-প্রদান করে বক্সে ঢুকে পড়েন। সুযোগ বুঝে ডান প্রান্ত থেকে বল জালে ঠেলে দেন মিগেল (২-০)। অসংখ্য সুযোগ সৃষ্টি করেও দুই গোলের একটিও শোধ করতে পারেনি আবাহনী। তাই আবারও বসুন্ধরার কাছে হার মানতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পয়েন্টে ভাগ বসিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রতিপক্ষ হিসেবে দুর্বল হলেও তাদের বিপক্ষে গোল আদায় করে নিতে পারেনি সাদা-কালোরা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য (০-০) ড্র করেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। একই দিনে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে সহজ প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে সেই জয়টি পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটির। প্রথম গোল আদায় করতেই জামালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭২ মিনিট। অবশেষে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের পাসে লক্ষ্যভেদ করে জামালকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার সাজ্জাদ হোসেন শাকিল (১-০)। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি এসেছে ইনজুরি টাইমে। (৯০+৩) মিনিটের গোলটিও করেন শাকিল (২-০)। এবারও গোলের পেছনের নায়ক ছিলেন ফাহিম। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় পায় শেখ জামাল।