শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় মেয়েরা

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বছর দুয়েক আগে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হয়েছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই আসরের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলারদের শীর্ষ এই টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে দিয়ে বছরে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে নামবেন বাংলাদেশের কিশোরীরা। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখা।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ও কোচ দু’জনের কণ্ঠেই এই সুর। জাতীয় নারী ফুটবল দল নিয়ে গত কয়েক মাস কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে তার কথা, ‘আমাদের দল অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। সপ্তাহে একটি করে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। সব কিছু মিলিয়ে আমরা শিরোপা ধারা অব্যাহত রাখতে আশাবাদী।’ কোচ শিরোপা বজায় রাখতে আশাবাদী হলেও মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে টানা শিরোপা জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। বিগত সময়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে অংশগ্রহণ করে শিরোপা ছাড়াই ফিরতে হয়েছে। এমন রেকর্ড নিয়ে অবশ্য বিচলিত নন জাতীয় নারী দলের কোচ। দলের অধিনায়ক আফেইদা খন্দকার ফাইনালে খেলতে প্রথম ম্যাচটিকে পাখির চোখ করছেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে জিতে আমরা ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চাই।’ উদ্বোধনী দিনেই বাংলাদেশ নেপালের মুখোমুখি হবে সন্ধ্যা ৭টায়। অধিনায়ক দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং সমর্থন দেবেন। যাতে আমরা আপনাদের খুশি করতে পারি।’ টুর্নামেন্টে মাত্র চার দল অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেক দল তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। তিন ম্যাচের পর শীর্ষ দুই দল ফাইনালে খেলবে। মাত্র চার দল অংশগ্রহণ করলেও টুর্নামেন্টটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আখ্যায়িত করেছেন কোচ টিটু, ‘নেপাল ও ভারত এখানে অংশ নিচ্ছে, ফলে অবশ্যই এটা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। মাত্র তিনটি ম্যাচ হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা আরো বেশি।’ ২৩ জনের দলে জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছেন পাঁচজন- আফিদা, স্বপ্না, স্বর্ণা রানী, ইতি খাতুন ও সুরমা জান্নাত। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির তিনজন- নবীরুন খাতুন, লুৎফুর আক্তার লিমা ও বন্যা খাতুন। অভিজ্ঞ ও নবীনদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে সন্তুষ্ট কোচ টিটু। তবে ভারত ও নেপালকে সমীহ করছেন তিনি।

‘ফিজিক্যালি এদের মধ্যে পার্থক্য নেই। তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে যদি বলি, জাতীয় দলে যারা খেলেছে (অনূর্ধ্ব-১৯ দলের) তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সে তুলনায় নতুনদের পরিপক্বতা কম এবং এটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে যে, ওদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া।’ জানা গেছে, অনুর্ধ্ব-১৯ দলে খেলোয়াড় সংকটের জন্য বাফুফে বিকেএসপিতে কয়েকদিন আগে একটি ট্রায়াল দিয়েছিল। সেই ট্রায়াল থেকে তিনজন এই দলে জায়গা পেয়েছেন। নতুন তিনজনের সঙ্গে সিনিয়র জাতীয় দলের স্কোয়াডে রয়েছেন এমন সংখ্যা পাঁচ। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণই কোচ টিটুর কাছে, ‘সিনিয়র দলের মতো এরাও প্রায় সবাই এক সঙ্গে রয়েছে অনেক দিন। দলের মধ্যে বোঝাপড়াও ভালো।’ ২ ফেব্রুয়ারি নেপাল, ৪ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং ৬ ফেব্রুয়ারি ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।