ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামের পাঁচে চার জয়, সিলেটের চারে চার হার

চট্টগ্রামের পাঁচে চার জয়, সিলেটের চারে চার হার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে হারের বৃত্ত থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছে না সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা তিন ম্যাচ হেরে আগেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবু দলটির অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ঘুরে দাঁড়ানোর বাণী শুনিয়েছিলেন টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। কিন্তু চট্টগ্রামের বিপক্ষে উল্টো আরো বড় ব্যবধানে হেরেছে বর্তমান রানার্স আপরা।

সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয়ের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সব মিলিয়ে আসরের পাঁচ ম্যাচে তাদের জয় চারটি। গতবার চমক দেখানো সিলেট এবার হারল চার ম্যাচের সবকটিই। গতকাল সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান করে সিলেট। জবাবে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে দলটি। ঢাকা পর্বে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম। এদিন বল হাতে প্রথমে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন চট্টগ্রামের বোলাররা। সিলেটের কোনো ব্যাটারই আগ্রাসী হতে পারেননি। ফলে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই থাকে তাদের। এরপর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তানজিদ হাসান ও টম ব্রুস। তাতে রান তাড়া করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বন্দর নগরীর দলটির। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৪টি জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো চট্টগ্রাম। অন্যদিকে চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে কোনো পয়েন্ট পায়নি সিলেট। ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে তারা। চট্টগ্রামের বোলারদের কৃতিত্ব দিলেও দায় এড়াতে পারবেন না সিলেটের ব্যাটাররা। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। দলীয় ৮ রানেই হারায় দুই ওপেনারকে। এরপর হ্যারি ট্যাক্টর ও জাকির হাসান দেখেশুনে খেলে প্রাথমিক চাপ সামলে নিয়েছিলেন। ১০ ওভারে ৬৫ রান তুলেছিল দলটি। কিন্তু এরপর শেষ ১০ ওভারে বিবর্ণ ব্যাটিং করে দলটি। দুই উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৭১ রান।

অথচ তখন উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটার ট্যাক্টর ও রায়ান বার্ল। ট্যাক্টরের সঙ্গে জাকির ৫৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন নিহাদুজ্জামানের বলে। ২৬ বলে ৩১ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর ট্যাক্টর জুটি বাঁধেন রায়ান বার্লের সঙ্গে। কিন্তু রানের গতিই বাড়াতে পারেননি তারা। ৪২ রানের জুটির পর ট্যাক্টর আউট হলে উইকেটে আসেন আরিফুল হক। একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রান করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলে ২৯ বলে ৪টি চারে ৩৪ রান করে বার্ল।

ফলে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি পায়নি দলটি। বল হাতে মূলত চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিলাল খান। সিলেটের টপ অর্ডার ভেঙে দেন এই পেসারই। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে দুই ওপেনারকে তুলে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে ২৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা তিনি। লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৩ রানেই চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি ভাঙে সিলেট। কিন্তু এরপর আরেক ওপেনার তানজিদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন টম ব্রুস। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রেখে ৯১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর তানজিদ আউট হলেও শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন ব্রুস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে শেষ অপরাজিত থাকেন ব্রুস। ৪৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন এই ব্যাটার। ফিফটি পেয়েছেন তানজিদও। ৪০ বলে ৫০ রান করেন তিনি। ব্রুসের মতো ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনিও। আভিস্কা ফার্নান্ডো ১৭ রান করেন। শাহাদাত অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত