টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্টকে প্রাধান্য দিবেন জোসেফ

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

নতুন তারকার আবির্ভাবে মুগ্ধতা, প্রশংসা, স্তুতির জোয়ার তো চলছেই। পাশাপাশি একটি শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কতদিন পাওয়া যাবে তাকে? ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের বাস্তবতাই সেটি। জাতীয় দলে কেউ ভালো শুরু করলেই ক্রমে বুঁদ হয়ে যান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। অথচ ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় টেস্ট ক্রিকেটকে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় জৌলুস হারিয়েছে সাদা পোশাকের ক্রিকেট। এজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। অর্থের ঝনঝনানি আর চার-ছক্কার রোমাঞ্চের মধ্যে যেন লাইফ সাপোর্টে লাল বলের ক্রিকেট! তবে ক্যারিবীয়দের সেই শঙ্কার মেঘ সরিয়ে শামার জোসেফের প্রত্যয়ী উচ্চারণ, এই যুগেও তিনি সবসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে যাবেন। টি-টোয়েন্টির এই যুগে ‘ফ্রিল্যান্স’ ক্রিকেটার সব দেশেই বাড়ছে ক্রমেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই ধারা চলে আসছে আরও প্রায় ১৫ বছর আগে থেকেই। ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো তারকারা জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময়ও ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। পরে সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা সেই ধারা ধরে রেখেছেন। সময়ের সঙ্গে যোগ হয়েছেন একের পর এক তারকা। সম্প্রতি যেমন বোর্ডের চুক্তিত সই করেননি জেসন হোল্ডার, নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্স। হোল্ডার কিছুদিন আগেও ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক, একসময় তিনি বলেছেন যে টেস্টকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ইতিহাস গড়া এক ডাবল সেঞ্চুরি করে টেস্ট অভিষেক মেয়ার্সের। দেশের হয়ে খেলার আবেগের কথা তখন বলেছিলেন তিনিও। এখন তিনি ব্যস্ত বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলায়। এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে হোল্ডার-মেয়ার্স খেলছেন আইএল টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্মরণকালের সবচেয়ে দুর্বল ও অনভিজ্ঞ দল নিয়েও ঠিকই ব্রিজবেন টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ এক স্পেলে ৭ উইকেট নিয়ে সেই জয়ের নায়ক শামার জোসেফ। তার যে গতি ও স্কিল, যেভাবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে তিনি খেলেছেন, টি-টোয়েন্টি লিগগুলো থেকে নিশ্চিতভাবেই ডাক পাবেন শিগগিরই। সেটা জানা আছে শামার জোসেফেরও। তবে গায়ানার দুর্গম গ্রাম থেকে অনেক লড়াই করে উঠে আসা এই পেসার নিজের ক্যারিয়ার ভাবনা জানিয়ে দিলেন স্পষ্ট করেই। ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে সবসময়ই প্রস্তুত থাকব আমি। সরাসরি এটা বলতে কোনো ভয় নেই আমার। এরকম সময় আসতে পারে, যখন টি-টোয়েন্টি আসবে এবং টেস্ট ক্রিকেটও থাকবে একই সময় আমি সবসময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে তৈরি থাকব, যত টাকার হাতছানিই আমার সামনে আসুক না কেন।’