ওমরজাইয়ের নৈপুণ্যে টানা দ্বিতীয় জয় রংপুরের

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

কুড়ি ওভারের ম্যাচ হলেও উভয় দলের ইনিংসে যেন রূপ নিল সুপার থ্রি-তে। রংপুর রাইডার্স ১৭ ওভার পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি। তবে শেষ তিন ওভারে বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিল ৫২ রান। রান তাড়ায় শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন পড়ল ঠিক ৫০ রানের। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা সেই সমীকরণ মেলাতে পারল না। আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল রংপুর। কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এলো নুরুল হাসান সোহানের দল। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে তারা। জবারে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ দিকে কিছুটা আক্ষেপ বাড়িয়েছিলেন জাকের আলী অনিক। মাত্র ৪ বল খেলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সতীর্থরা আর কিছুটা আগ্রাসী হতে পারলে হয়তো জয় পেতেও পারতো তারা। তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো হয়নি কুমিল্লার। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেন না অধিনায়ক লিটন দাস। ওমরজাইয়ের প্রথম বলেই বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন খালি হাতে। এরপর অবশ্য মাহিদুল ইসলাম অংকনের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। ২১ বলে ১৭ রান করেন মোহাম্মদ নবির শিকার হন রিজওয়ান। তাওহিদ হৃদয় অবশ্য রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। অংকনের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। এ জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ফেরান অংকনকে। ৫৫ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। নিজের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায়। খুশদিল উইকেটে নেমেই ওমরজাইয়ের এক ওভারে দুটি ছক্কা মেরে দলকে লক্ষ্যে রাখেন। কিন্তু সে ওভারেই ফিরে যান তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন রেইফার ও আমির জামালও। ফলে শেষ দিকে জাকের আলীর ক্যামিওতে কাজ হয়নি। ৮ রান দূরেই থামে তারা। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানে ওপেনার ব্রান্ডন কিংকে হারায় রংপুর। এরপর ফজলে মাহমুদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাবর আজম। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এক প্রান্ত আগলে কিছুটা দেখে শুনে খেলেন বাবর। ৩৬ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে স্বদেশী খুশদিল শাহর বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফজলে রাব্বি অবশ্য রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। ২১ বলে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। নিজের ইনিংস সাজাতে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার। এরপর ১৮ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন শামিম হোসেন। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাইর দারুণ এক ক্যামিও রংপুরকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। ২০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ রান করেন এই আফগান অলরাউন্ডার। শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ৬ বলে হার না মানা ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। একটি করে চার ও ছক্কায় ৭ বলে ১৩ রান করেন মোহাম্মদ নবি। কুমিল্লার পক্ষে তিন ওভার বল করে ২০ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন রিমন রেইফার।