ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

জয়ে শুরু করতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা

জয়ে শুরু করতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আনাই মগিনির গোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ৩ বছর পর একই ভেন্যুতে আবারও বসছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আসর।

ঘরের মাঠে আজ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কিশোরীরা। চার দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, নেপাল আর ভুটান। বিকাল ৩টায় উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে ভুটান। সন্ধ্যা সাতটায় দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের মোকাবিলা করবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। টুর্নামেন্টে জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে চার দলের কোচ ও অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু ও অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। চার দলের কোচের মধ্যে বাংলাদেশের সাইফুল বারী টিটুই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। সাইফুল বারী টিটু জাতীয় দলে খেলেছেন। খেলা ছাড়ার পর থেকেই কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। কখনো ক্লাবে কখনো জাতীয় দলে কোচিং করিয়েছেন। তিনি জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের কোচ ছিলেন একাধিকবার। নারী ফুটবলেও সিনিয়র দলের কোচ ছিলেন। এবার দায়িত্ব জুনিয়র টুর্নামেন্টে। এতে বাংলাদেশ অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকবে কিনা এমন প্রশে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘হ্যাঁ এটা ঠিক। খেলোয়াড় পরিবর্তন, ম্যাচের অবস্থা বুঝে কৌশল নির্ধারণে কোচের ভূমিকা থাকে। হয়তো আমার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে। তবে কাজটা মূলত ফুটবলারদের। তাদের খেলার উপরই নির্ভর করে কোচ সফল হবে কি না।’ সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গত আসরের চ্যাম্পিয়ন। সেই আসরে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বাফুফের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দায়িত্ব ছেড়েছেন সফল এই কোচ। এরপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। সিনিয়র নারী দলের পর এখন জুনিয়র দলের কোচ। এই টুর্নামেন্ট শিরোপা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ কিনা এই প্রসঙ্গে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। আমরা এ দেশের নাগরিক সে হিসেবে আমাদের দেশকে কিছু দেয়া দরকার।

আমরা রোহিঙ্গা না। দেশ আমাদের থাকতে দিয়েছে। দেশকে আমাদের কিছু দিতে হবে। এটাই খেলোয়াড়দের মনে রাখলেই হবে।’ ভারতের কোচ জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই দল সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে এসেছেন তারা। এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘এই দলটা আগে কখনোই একসঙ্গে খেলেনি। তাই কীভাবে খেলে, কেমন খেলে, সেটি আমাদের প্রতিপক্ষের জানার কথা নয়। তবে আমরা জানি, এই দলটা কেমন। এ দলে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। আমার দল কেমন খেলবে, সেটা মাঠেই বোঝা যাবে। তবে আমরা প্রথম ম্যাচটা জিততে চাই।’ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার তিন দিন আগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেন ‘প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে জিতে আমরা ফাইনালের পথে থাকতে চাই।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবলাররা সাধারণত বাফুফে ভবনে থেকেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। সাফ, এএফসি অর্থ দিলেও বাফুফে ফুটবলারদের ভবনেই রাখত। এবার নারী ফুটবলারদের অন্য দলগুলোর সঙ্গে হোটেলে থাকছেন। বাফুফে কর্তারা সব সময় বলতেন, ‘নারী ফুটবলাররা হোটেলের পরিবর্তে ভবনেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য। সেই ভবন ছেড়ে এখন পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা নিয়ে আফিদা বললেন, ‘আমরা এখানেও ভালো রয়েছি। সব দল একসঙ্গে রয়েছি। সুইমিংপুলে আড্ডা দিয়েছি গতকাল।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত