অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ
সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রায় ৪ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন যুবারা। পরেরবার আর সেটি ধরে রাখতে পারেননি জুনিয়র টাইগাররা। এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন নিয়ে সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখেন লাল-সবুজের যুবারা। ভারতের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করতে না পারলেও পরের দুই ম্যাচ জিতে সুপার সিক্সে পা রাখে বাংলাদেশ। যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ শুরু করেছে তারা। রোহানাত দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন ব্যাটারদের কাজটা করে দিলেন সহজ। তাদের নৈপুণ্যে অল্প পুঁজিতে থামল নেপাল। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বিধ্বংসী ফিফটি করলেন জিশান আলম ও আরিফুল ইসলাম। অনায়াস জয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ। তবে সম্ভাবনা বেঁচে আছে সমীকরণের পাল্লায়। সেজন্য পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি নেট রানরেট উপরে নিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। নেপালকে হারিয়ে যুবা টাইগারদের বর্তমান নেট রানরেট হয়েছে ০.৩৪৮। পরের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের নেট রানরেট ১.০৬৪। সে হিসেবে পরের ম্যাচে একটা নির্দিষ্ট ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এমন এক ব্যবধানে জয় পেতে হবে, যাতে পাকিস্তানের রানরেট নেমে আসে বাংলাদেশের নিচে। সে হিসেবে সমীকরণ হলো, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২৫০ বা তার কম রান করলে কমপক্ষে ৫০ রানের ব্যবধানে জিততে হবে। পাকিস্তানকে ২০০ রানের আগে অলআউট বা আটকে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে ০.০০১ বেশি থাকবে বাংলাদেশের রানরেট। আবার বাংলাদেশ যদি ২৫০ রানের বেশি করতে পারে সে ক্ষেত্রে জিততে হবে কমপক্ষে ৫১ রানে। এই হিসেবে বাংলাদেশ যদি ২৭০ রান করে, পাকিস্তানকে আটকে রাখতে হবে ২১৯ রানের মধ্যে। অথবা ৩০০ করলে পাকিস্তানকে আটকে রাখতে হবে ২৪৯ রানের মাঝে। অন্যদিকে পাকিস্তান আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশকে ৩৮ থেকে ৪০ ওভারের মাঝে ম্যাচ শেষ করতে হবে। সে হিসেবে ৩০০ রান টার্গেট থাকলে ৩৯.৩ ওভারের মধ্যে, ২৫০ রান করলে ৩৯ ওভারের মধ্যে এবং ২০০ রানের ক্ষেত্রে ৩৮.৪ ওভারের মধ্যে জিততে হবে। অর্থাৎ, পাকিস্তান আগে ব্যাট করলেই বাংলাদেশের বিদায় প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। উল্লেখ্য, সুপার সিক্সে দুই গ্রুপে মোট দল আছে ১২টি। এই ১২ দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। পয়েন্টের ভিত্তিতে দুই গ্রুপের সেরা চার দল খেলবে আসরের সেমিফাইনাল। সেখান থেকে দুই দল খেলবে ফাইনাল।