‘মাশরাফি ভাই এখনো আমাদের ক্যাপ্টেন’

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় দলের হয়ে আর মাঠে না নামলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন মাশরাফি বিন মুর্তাজা। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরেও খেলছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই পেসার। পায়ের পুরোনো চোট, ফিটনেসে ঘাটতিতে এবারের আসরে খেলার আদর্শ অবস্থায় ছিলেন না মাশরাফি। ফলে তাকে নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অবশেষে বিপিএল থেকে বিরতি নিলেন মাশরাফি। তাকে ছাড়াই নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। গত শুক্রবার সুরমা পাড়ের দলটিকে নেতৃত্ব দেন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মিঠুন। যিনি পারফরম্যান্সের কারণে পঞ্চম ম্যাচে বাদও পড়েছিলেন। ষষ্ঠ ম্যাচে অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স করে দলকে প্রথম জয় এনে দেন। টানা পাঁচ ম্যাচে হার, এরপর আপনার নেতৃত্বে জয়, ব্যাট হাতে আপনি সেরা পারফর্মার, অধিনায়কের পারফরম্যান্স কি সিলেটের জয়ের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে? দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৫ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে মিঠুন ‘না’ সূচক উত্তর দিয়েছেন। তার মতে মাশরাফি এখনো সিলেটের ক্যাপ্টেন। ‘মাশরাফি ভাই এখনো আমাদের ক্যাপ্টেন। উনার অনুপস্থিতিতে আমি এই দায়িত্বটা পালন করছি। আমাদের দল থেকে শুরু করে কীভাবে চলব, সবসময় সবকিছুর সাথে উনি যুক্ত আছেন। আজকে সকালেও কথা হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন উনার ব্যস্ততার কারণে বিপিএলে অংশ নিতে পারছেন না।’ ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন অনেকে আছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাদের যে অবদান এটা শুধু একটা ম্যাচ বা একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে বিচার করতে পারবেন না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে উনাদের অনেক অবদান। আমাদের সবার উচিত, যারা বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান রাখা’- মাশরাফির অবদানকে সম্মান জানানোর আহ্বান রেখে আরো যোগ করেন মিঠুন। বিপিএলের শুরু থেকে মাশরাফির পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়। সাবেক ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক পর্যন্ত মাশরাফির খেলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মাশরাফি জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজির চাওয়ায় তিনি খেলছেন। ৫ ম্যাচে বল হাতে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন। এক ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৯ রান। পুরোদমে বোলিং করতে পারেননি। আর ব্যাট হাতে আসে ৮ রান। মাশরাফি না থাকায় তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পান মিঠুন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ফিফটি করেন। তার ব্যাটে ভর করে ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। তাড়া করতে নেমে ১২৭ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। নিজের ইনিংস নিয়ে মিঠুনের ভাষ্য, ‘আসলে আমার ইনিংসটা কিছু নয়। দলের দরকার ছিল সেটা। এটা আমি না করে অন্য কেউ করলেও একই হতো। কেউ একজন দরকার ছিল যে শেষ পর্যন্ত যাবে। পাওয়ার প্লে-তে না রান হয়েছে, আবার উইকেটও পড়ে গেছে। ডিফেন্ড করার মতো স্কোর গড়তে ওখান থেকে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল। আমার আর সামিতের সেটা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি না হয়ে অন্য কেউও হতে পারত।’ জয়ে খুশির সঙ্গে আফসোসও হচ্ছে মিঠুনের, ‘প্রথমে রিলিফ, এরপর আফসোস! দুটাই বলতে পারেন। আমাদের প্রথম তিনটা ম্যাচেই জেতার সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। আমরা একটা জয় দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছিলাম। আজ সেই দিন। আলহামদুলিল্লাহ আজ জিততে পেরেছি।’