ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

সিলেট ঘুরে আবারো ঢাকায় ফিরল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। দুঃসময় পেরিয়ে বুঝি এবার ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। এমন খুশির দিনে সহজ জয় পেল রংপুর রাইডার্স। রংপুরের জয়ের নায়ক দলের সবচেয়ে বড় তারকা। এতোদিন শুধু বোলিংয়ে অবদান রেখে আসছিলেন। চোখের সমস্যার কারণে ব্যাটিং ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না। কিন্তু এদিন অলাউন্ডার সাকিবকে মিরপুরে পাওয়া গেল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ বলে ৩৪ রান করেন ১ চার ও ৩ ছক্কায়। এরপর বোলিংয়ে হাত ঘুরিয়ে ১৬ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে তারা। জবাবে ১৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। এই নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর। সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলা ঢাকার সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। তালিকার তলানিতে রয়েছে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল ঢাকা। প্রথম চার ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে করে মাত্র ৪ রান। শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে অভিষিক্ত সাব্বির হোসেন ও পাকিস্তানি ক্রিকেটার সিয়াম আইয়ুব আউট হন যথাক্রমে ব্যক্তিগত ১ ও ২ রানে। সেই চাপ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইর করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন নাঈম। পরের ওভারে শেখ মেহেদীকেও টানা দুই বলে একটি চার ও ছক্কা মারেন। ফলে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩২ রান করে দলটি। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বল হাতে নিয়ে আলেক্স রসকে সাকিব আউট করলে ফের চাপে পড়ে যায় ঢাকা। নাঈমও দেখে খেলতে শুরু করেন। ফলে আস্কিং রান রেট বাড়তে থাকে হুহু করে। দলীয় ৫৭ রানে সালমান ইরশাদের বলে নাইম বিদায় নিলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এদিনও হতাশ করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। পারেননি আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবও। তবে ইরফান শুক্কুর ও তাসকিন আহমেদ শেষদিকে চেষ্টা চালান। তাদের ২৭ রানের জুটিতে শতরানের কোটা পার করতে পারে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। ৩১ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৮ বলে ২টি ছক্কায় ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন তাসকিন। ২১ রান করেন ইরফান। রংপুরের পক্ষে ১৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন সাকিব। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান শেখ মেহেদী, ইরশাদ ও হাসান মাহমুদ। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে রংপুর। বাজে সময় কাটিয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেন রনি তালুকদার। দারুণ কিছু শটে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আরাফাত সানির বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ২৪ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। তিনে নেমে সাকিব আল হাসানও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন। যদিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মাঝের ম্যাচগুলোতে লেজের দিকে নামলেও এদিন টপ অর্ডারে ফিরে এসে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। একটি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। বাবর আজম নিজের মতোই খেলেছেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ বলে করেন ৪৭ রান। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ১৬ বলে ৩টি ছক্কায় ২৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নবি। আর ১০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ রান করেন সোহান। ঢাকার পক্ষে ৩০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত