চোট কাটিয়ে জাপানে খেলার ইঙ্গিত মেসির

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

অবশেষে ইন্টার মায়ামির জয় খরা কেটেছে। ১২ ম্যাচ ও ১৩৬ দিন পর জয়ের দেখা পেলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রো লিগের দলটি। এই ম্যাচে লিওনেল মেসিকে মাঠে দেখতে স্টেডিয়াম ছিল কানায়কানায় পূর্ণ। কিন্তু চোটের কারণে মাঠেই নামেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসির খেলা দেখতে না পেয়ে হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে হংকংয়ের দর্শকদের। এ নিয়ে হংকংয়ের সমর্থকদের রোষানলে পড়েন। টিকিটের টাকা ফেরত চেয়ে দুয়োও দেয়া হয় তাকে। তবে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ভালো বোধ করছেন মেসি। তবে জাপানে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইন্টার মায়ামির এই তারকা। এশিয়া সফরে সৌদি আরবে আল-হিলালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চোট পান মেসি। পরের ম্যাচে আল-নাসরের বিপক্ষে শুরুতে মাঠে নামেননি। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে নামেন। কিন্তু হংকং একাদশের বিপক্ষে নামেননি। আগের দুই ম্যাচ হারলেও সে ম্যাচে তার দল জয় ৪-১ গোলের ব্যবধানে। আগামীকাল জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসির দল মায়ামি। এই ম্যাচেও সমর্থকরা মেসিকে মাঠে দেখার জন্য উদগ্রীব। কিন্তু শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অন্তত সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তাতে নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা। যদিও মাঠে নামার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন মায়ামি অধিনায়ক। আজ বিকালে আমরা অনুশীলন করব। আমি আবার চেষ্টা করব। সত্যি হচ্ছে, আমি গত কয়েক দিনের তুলনায় আমি অনেক ভালো বোধ করছি। সবকিছু নির্ভর করছে অনুশীলনে কেমন বোধ করি, তার ওপর। সত্যি বলছি, (ভিসেল কোবের) বিপক্ষে খেলতে পারব কি না, তা এখনো জানি না। কিন্তু আমি আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি এবং খেলতে চাই, ‘সংবাদ সম্মেলনে বলেন মেসি। হংকংয়ে খেলতে পারেননি বলে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি, ‘আমি যে হংকং ম্যাচে খেলতে পারিনি, এটা দুঃখজনক। আমি সব সময়ই খেলতে চাই। বিশেষ করে আমরা যখন সফর করি এবং মানুষ আমাদের ম্যাচ দেখার জন্য উন্মুখ থাকে। আশা করছি আমরা আবার আসব এবং আরেকটা ম্যাচ খেলব আর আমি সেখানে থাকব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমার খেলতে না পারাটা দুঃখজনক।’ ম্যাচে না থাকলেও হংকংয়ে অনুশীলন করেছিলেন মেসি। সে প্রসঙ্গে এই মহাতারকা বলেন, ‘হংকংয়ে আমরা উন্মুক্ত অনুশীলন করি এবং আমি সেই অনুশীলনে ছিলাম। কারণ, অনেক মানুষ সেখানে এসেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফুটবলে এমন ঘটনা যেকোনো ম্যাচেই হতে পারে। আমাদের চোট থাকতে পারে। আমার ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে।’