ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

বাংলাদেশ-ভারত শিরোপা লড়াই আজ

বাংলাদেশ-ভারত শিরোপা লড়াই আজ

আরো একবার শিরোপা মঞ্চে বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েরা। স্বাগতিকদের মিশন সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার আর ভারতের লড়াই পুনরুদ্ধার। বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার গত চার আসরে তিনবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২০২২ সালে লাল-সবুজের মেয়েদের হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ ফের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে দুই দল। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। এবারের রাউন্ড রবিন লিগে দেখা হয়েছিল দুই দলের, সেখানে বিজয়ের হাসি বাংলাদেশের। সাগরিকার দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। শেষ মুহূর্তের গোলে হারলেও ওই ম্যাচে আক্রমণে ছড়ি ঘুরিয়েছিল ভারতই। অনেক সুযোগ নষ্ট করার কারণেই সেদিন লক্ষ্যপূরণ হয়নি তাদের। এবার ফাইনাল নিয়ে যদিও দলটির কোচ শুক্লা দত্তের কণ্ঠে প্রতিশোধের ঝাঁঝ নেই, কিন্তু ওই হারের ক্ষত যে এখনও শুকায়নি, তা পরিষ্কার। ‘প্রতিশোধ এই মানসিকতা আমার মধ্যে নেই। খেলতে এসেছি, খেলব। আবার বাংলাদেশের সাথে দেখা হচ্ছে (ফাইনালে), সেটাই বড় ব্যাপার। আমারও ভালো লাগবে বাংলাদেশের সঙ্গে আবারও খেলতে, একটা ম্যাচ ওদের বিপক্ষে খেলেছি (হেরেছি), দেখা যাক, ফাইনালে কী হয়।’ ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের আসরে রাউন্ড রবিন লিগ ও ফাইনাল- দুই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একই ব্যবধানে (১-০) হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন না টিটুও। ‘অতীত প্রসঙ্গ আমি আসলে খুব একটা অনুভব করি না, যেহেতু আমি ওই সময় দায়িত্বে ছিলাম না। আপনি যদি কোথাও না থাকেন, তখন আপনি ওই সময়ের উত্তাপটা অনুভব করবেন না। এটা ভিন্ন টুর্নামেন্ট, তুলনামূলক ভালো দলটিই জিতবে।’ বাংলাদেশ কোচের পরের কথাগুলো অবশ্য এতটা সাদামাটা নয়। সেখানে ভারতের প্রতি সমীহ থাকলেও তাদেরকে হারিয়ে শেষটা রাঙানোর লক্ষ্য বেশ স্পষ্ট। ‘ভারতের বিপক্ষে প্রথম যে ম্যাচটা খেলেছিলাম, সেখানেই তো বুঝেছিলাম কঠিন প্রতিপক্ষ। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছিল ওটা। ফাইনালেও ভারতকে সমীহ করতে হবে। ওভাবে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।’ ‘ফাইনাল এমন একটা বিষয় আপনার শরীর চলবে না, কিন্তু মন চাইবে ভালো করার। ভারত ক্লান্ত থাকলেও ওভাবেই আসবে, আমাদের ওভাবেই খেলতে হবে। ফাইনালে যে কোনো দলই জিততে পারে। যারাই চ্যাম্পিয়ন হয়, সেরা দলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হয়।’ এবারের আসরে গোলের পরিসংখ্যানে ভারতের আক্রমণভাগ সবচেয়ে শক্তিশালী। তিন ম্যাচে তারা গোল দিয়েছে ১৪টি, হজম করেছে মাত্র ১টি। সেখানে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ আটটি দিয়ে খেয়েছে ১টি। রাউন্ড রবিন লিগে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন ভারতের পুজা, শিবানি দেবি। ৪ গোল নিয়ে পুজা গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৩ গোল করেছেন সাগরিকা; বাকি পাঁচ গোল করেছেন- ঐশি খাতুন (২টি), মুনকি আক্তার, নুসরাত জাহান মিতু ও তৃষ্ণা রানী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত