ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাটকীয় ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

নাটকীয় ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত মিনিটের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। তাতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ১১-১১ টাইব্রেকারে সমতা হলে টসের মাধ্যমে ফল নির্ধারিত হয়। যেখানে বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে ভারত। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে চরম নাটকীয়তা। ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ভারতের শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষা। সেই মুহূর্তে সাগরিকা গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ ফেরান। রেফারি ৪ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। ৩ মিনিটে আফিদা খন্দকারের থ্রো ইন থেকে বাংলাদেশের সাগরিকা বক্সের আগে জটলায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন নিজ প্রচেষ্টায় বক্সে বল নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন সাগরিকা। যার গোলে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছিল। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সমতা থাকলে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানেও ১১-১১ এ সমতা হয়। এর ফলে টসের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। টস ভাগ্যে জয় হয় ভারতের। হারের পর এই টস নিয়ে অসন্তোষ ছিল বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রতি বছরই সাফল্যের দেখা পায়। শেষ চার আসরে তিনবার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার্সআপ হয় বাঘিনীরা। তবে ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত লড়াইটা যে জমজমাট গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই তার আভাস মিলেছিল। গতকাল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তা টের পেয়েছে লাল-সবুজের দল। যেখানে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা টাইগ্রেসরা ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোলে সমতায় ফিরলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে টাইব্রেকারেও এই ম্যাচের সমতা না মিললে, রেফারির সিদ্ধান্তে ম্যাচ গড়ায় টসে। যেখানে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদশের। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই ঘরের মাঠে থাকা বাংলাদেশের দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারত। ম্যাচের ৮ মিনিটে শিবানী দেবী লিড নিয়ে থাকে সফরকারীদের। এরপর ম্যাচের ফিরতে মরিয়া টাইগ্রেসরা বেশ সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংয়ের অভাবে ম্যাচে ফিরতে পারেনি টিটুর শিষ্যরা। উল্টো ১৭ মিনিটের সময় আরো পিছিয়ে পড়তে বসেছিল বাংলাদেশ। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের ফুটবলার। এরপর ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে আরো একটি জোরাল আক্রমণ করে ভারত। এবার অবশ্য শিবানীর বুলেট গতির শট দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ডি বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে স্বপ্নার দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। এর ১ মিনিট পরই ফের স্বপ্নার বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দলকে ফের রক্ষা করেন ভারতীয় গোলরক্ষক আনিকা দেবী। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভারত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত