ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যৌথ চ্যাম্পিয়নের প্রস্তাবে প্রথমে রাজি ছিল না ভারত

যৌথ চ্যাম্পিয়নের প্রস্তাবে প্রথমে রাজি ছিল না ভারত

বয়সভিত্তিক তো বটেই, পেশাদার ফুটবল ইতিহাসেও এমন ঘটনা বিরল। শুধুমাত্র ম্যাচ কমিশনারের ভুলের কারণে, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে পেছনে লেপ্টে গেল বিতর্কের কালিমা। নিয়মটাই যে তার জানা ছিল না! কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অনেকটা সময় ভারত এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে সাগরিকার গোলে নাটকীয়ভাবে ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই শট নিয়ে গোলের দেখা পান। নিয়ম অনুযায়ী, পেনাল্টি শুটআউট চলমান থাকার কথা। কিন্তু তখনই গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া ডিলান। তার সিদ্ধান্তের কারণে টসে শিরোপা নির্ধারণ করেন রেফারি।

টসভাগ্যে জিতে উল্লাস শুরু করে ভারত। কিন্তু আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কেননা, নিয়মে এমন কিছুই নেই। তাই ম্যাচ কমিশনার ভুল স্বীকার করে ভারতকে শিরোপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। পেনাল্টি শুটআউট আবার চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানালেও ভারত ড্রেসিংরুমে গিয়ে আর মাঠে ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন করা হয় দুই দলকে। যদিও ভারত প্রথমে তা মানতে নারাজ ছিল। ম্যাচশেষে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নিয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘আসলে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ইতিহাসে এমনকিছু অতীতে হয়নি। আসলে ভুলটা ম্যাচ কমিশনার করেছেন। নিয়ম পুরোপুরি না দেখে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেছেন। আমি যতদূর জানি রেফারি বলেছিলেন খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। ম্যাচ কমিশনার তখন বলেছেন, নিয়মে টসই আছে। এই ভুলটা সে করাতে, এই সমস্যা হয়েছে। এএফসিকে জানানোর পর তারা বলেছে, টস হবে না, পেনাল্টি শুটআউট চালিয়ে যেতে হবে। তখন ভারতীয় দল বলেছে, আমরা করব না। ম্যাচ কমিশনার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এটাই আমাদের কাছে চূড়ান্ত। তিনি আরও বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতি দাঁড়াল তখন, কিছু করার নেই আমাদের। আমরা কয়েকটা সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছি। এর মধ্যে একটা হলো ম্যাচ পরিত্যক্ত করে দিয়ে, আবার আরেকটা ম্যাচ আয়োজন করা। দ্বিতীয় হলো পেনাল্টি শুটআউট চলুক, তৃতীয়টা হলো যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা। তারা (ভারত) কোনোটিতেই রাজি হচ্ছিল না। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমঝোতার পর, তারা রাজি হয়েছে যৌথ চ্যাম্পিয়নের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমরা এখন আপাতত ভারতকে দিচ্ছি, আরেকটা তৈরি করে বাংলাদেশকে দেব। এটাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত