স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তারিকুজ্জামান মুনিরের। দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রাকিবুল হাসান। তামিম ইকবালেরও ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। ২০২০ সালে মিরপুরে জাতীয় লিগের ম্যাচে চট্টগ্রামের এই ব্যাটার খেলেছিলেন ৩১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এতোদিন ছিল না কোনো ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড। এবার জুনিয়র পর্যায় থেকেও এলো ট্রিপল সেঞ্চুরি। গত রোববার সেই রেকর্ডটাই করেছেন বিকেএসপির ওপেনার। দেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার তিনশ ছাড়ালেন রিফাত বেগ। প্রায় ১১ ঘণ্টা ব্যাট করে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার বিসিবির অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের আসরে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম উঠিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে ১৪৩ রানে অলআউট হয় ঢাকা মেট্রো। সেদিনই ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন রিফাত। পর দিন সেঞ্চুরি ছুঁয়ে পরে ডাবল সেঞ্চুরিও পেরিয়ে মাঠ ছাড়েন ২২১ রানে অপরাজিত থেকে। আরেক ওপেনার ফাহিম মুনতাসিরের ৫৭ ছাড়া বিকেএসপির আর কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটি করতে পারেননি। কিন্তু রিফাত আরেক প্রান্তে ছুটতেই থাকেন। তৃতীয় দিনে বিকেএসপির অষ্টম উইকেটের যখন পতন হয়, রিফাত তখন অপরাজিত ২৬১ রানে। নবম উইকেটে ইয়ামিন হোসেন হৃদয়ের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে তিনি এগিয়ে যান ৩০০ রানের খুব কাছে। এই জুটি যখন ভাঙে, রিফাতের রান তখন ২৯৮। শেষ ব্যাটসম্যান হোসাইন আহমেদ ওই ওভারের শেষ দুটি বল নিরাপদে কাটিয়ে দেন। পরের ওভারের প্রথম বলেই ২ রান নিয়ে রিফাত ৩০০ পূর্ণ করেন ৪৬৭ বলে। শেষ পর্যন্ত বিকেএসপির ইনিংস শেষ হয় ৫৪৯ রানে। তবে রিফাতকে আউট করতে পারেননি কেউ। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ৪৮৩ বল খেলে ৩২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৯ চারের পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ৪টি।
