ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়ক দুর্ঘটনায় ম্যারাথনের বিশ্ব রেকর্ডধারীর মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় ম্যারাথনের বিশ্ব রেকর্ডধারীর মৃত্যু

বয়স মাত্র ২৪ বছর। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য কী এমন বয়স। এটা তো আবেগের কথা। কারণ, মৃত্যু কখনও কাল অকাল দেখে আসে না। যে জন্মেছে, সে মৃত্যুবরণ করবেই। মৃত্যুর নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। সেটাই যেন বাস্তব প্রমাণিত হলো কেনিয়ার ম্যারাথনে বিশ্ব রেকর্ডকরা কেনিয়ার অ্যাথলেট কেলভিন কিপটামের সঙ্গে। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন কিপটাম। একই গাড়িতে থাকা তার কোচ জারভেইস হাকিজিমানাও প্রাণ হারিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওয়েস্টার্ন কেনিয়ায় স্থানীয় সময় গত রোববার রাত ১১টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। কাপটাগাট থেকে এলডোরেট যাওয়ার পথে কিপটাম ও হাকিজিমানাকে বহনকারী গাড়িটি উল্টে যায়। ২৪ বছর বয়সি দৌড়বিদ কিপটাম নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ওয়েস্টার্ন কেনিয়ার এলগেয়ো মারাকেট কাউন্টির পুলিশ কমান্ডার পিটার মুলিঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গাড়িতে তিনজন ছিলেন। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তারা হলেন কিপটাম ও তার কোচ। বাকি একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘কিপটাম ছিলেন চালকের আসনে। এলডোরেট যাওয়ার পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। একজন নারী যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ম্যারাথনে ২ ঘণ্টা ৩৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে রেকর্ড গড়েন কিপটাম। ৩৪ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে ভেঙে দেন স্বদেশি এলিউড কিপচোগের কীর্তি। চলতি বছর অনুষ্ঠেয় প্যারিস অলিম্পিকে সোনার পদক জয়ে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল তাকে। ক্যারিয়ারের স্রেফ তৃতীয় ম্যারাথনেই চূড়ায় উঠে হইচই ফেলে দেন কিপটাম। ম্যারাথনে বিশ্ব রেকর্ড গড়া এই অ্যাথলেটের মৃত্যুতে সামাজিকমাধ্যমে নেমে আসে শোকের ছায়া। কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওদিঙ্গা টুইটারে লিখেছেন, ‘বিশ্ব রেকর্ডধারী ও কেনিয়ার অ্যাথলেটের আইকন কেলভিন কিপটামের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। আজ রাতে সে ও তার কোচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা গেছেন। সত্যিকারের এমন নায়ককে হারানোয় জাতি শোকস্তব্ধ।’ কিপটামকে ‘সাম্প্রতিক সময়ের রোড রানিংয়ে অন্যতম সেরা সম্ভাবনাময়’ হিসেবে উল্লেখ করে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান কো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ ও কেনিয়ান জনগণের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। একজন অবিশ্বাস্য অ্যাথলেট পেছনে রেখে গেল অবিশ্বাস্য এক অধ্যায়। আমরা তাকে ভীষণ মিস করব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত