২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে

অনুশীলনে রক্তাক্ত মোস্তাফিজ

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেট ঘুরে ফের ঢাকা হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর এখন চট্টগ্রামে। গতকাল রোববার ছিল বিরতির দিন। একদিনের বিরতি শেষে আজ ফের শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। দিনের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাই আগের দিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নেমেছিল কুমিল্লার ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি নেটে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস ও ম্যাথু ফর্ড। এই সময় মোস্তাফিজুর রহমান ও নেট বোলাররা বল করছিলেন। নিজের বোলিং শেষে ফেরত আসার সময় পাশের নেট থেকে বল এসে লাগে মোস্তাফিজের মাথার বাম পাশের পেছনের অংশে। এই সময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।

আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন প্রাথমিক চিকিৎসা, মাথা দেয়া হয় আইস ব্যাগ। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে স্থানীয় ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টিম ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজল জানান, ‘সিটি স্ক্যানের পর আমরা সন্তুষ্ট যে, এটা কেবলই বাহ্যিক ইনজুরি। অভ্যন্তরীন কোনো রক্তক্ষণ নেই। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। এছাড়া তার ক্ষতে সেলাই লাগানো হয়েছে।’ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, মোস্তাফিজের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে।

সতর্কতা হিসেবে আগামী ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁ-হাতি পেসার। মোস্তাফিজের আঘাত ঠিক কতখানি গুরুতর তা নিয়ে পরবর্তীতে গণমাধ্যমের সামনে আলাপ করেছেন কুমিল্লার ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজল। মোস্তাফিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘যতটুকু আমরা এখন পর্যন্ত জানি, উনি কোনো ধরনের শঙ্কার ভেতরে নেই। উনি কথা বলতে পারছেন, উনার নিজের নাম উনি বলতে পারছেন। সকল ব্যাপারে কমিউনিকেশন করতে পারছেন। বই-খাতায় যেভাবে বলা আছে কনকাশন হলে কি প্রটোকল; উনি এখনো বড় রকমের কনকাশনে আক্রান্ত হননি।’ মোস্তাফিজকে ঢাকায় নেয়ার পরিকল্পনা আছে কি না, তা জানতে চাইলে সজল বলেন, ‘এখানে আমরা নিউরোসার্জনকে যেহেতু পেয়েছি। সিটি স্ক্যান যেহেতু নরমাল আছে। ঢাকাতে আমরা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে আপডেট রাখছি। সকল পেপার আমরা ঢাকাতে ফরোয়ার্ড করেছি। ডাক্তার দেবাশীষ উনার সিটি স্ক্যান পেপারগুলো দেখেছেন। আমরা এখনও ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে যাইনি।’ মোস্তাফিজের এই চোট নিঃসন্দেহে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লার জন্য বড় ধাক্কা। কারণ কুমিল্লার বোলিং লাইনে অন্যতম শক্তি এই কাটার মাস্টার। ডেথ ওভারে কার্যকরী বোলিং করে প্রায় ম্যাচেই দলকে রাখতেন সুবিধানজনক অবস্থায়। এবারের আসরে ওভার প্রতি ৯.৫৬ করে রান দিয়ে ৯ ম্যাচে মোস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। সেরা ছন্দে না থাকলেও মোস্তাফিজই বোলিং আক্রমণে কুমিল্লার বড় ভরসা।