ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত পদকজয়ীরা

সুযোগ-সুবিধা পেলে দেশকে আরো পদক দিতে পারব

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগের রাতে তেহরান থেকে ফেরা জহির রায়হান ও মাহফুজুর রহমান এভাবেই গতকাল বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে প্রবেশ করলেন। ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে জহির রায়হান ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে রুপা ও হাইজাম্পার মাহফুজুর রহমান জিতেছেন ব্রোঞ্জ। তবে এটাই শেষ নয়, দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন এবং যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেলে দেশকে এমন পদক আরো এনে দিতে পারেন বলেই জানালেন দুই ক্রীড়াবিদ। কাজাখস্তানের আস্তানায় ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন ইমরানুর।

বৈশি^ক আসরে হরহামেশাই খেলে থাকেন লন্ডন প্রবাসী এই অ্যাথলেট। কখনো কখনো ওই সব আসরের সেমিফাইনালেও পৌঁছেছেন। মূলত লন্ডনের মতো উন্নত পরিবেশে অনুশীলন করেন বলেই ইমরান ভালো করতে পারছেন- এমন উদাহরন টেনে জহির রায়হান বলেন, ‘ইমরান ভাইয়ের মতো সুযোগ সুবিধা পেলে অবশ্যই আমরা দেশকে আরো পদক এনে দিতে পারব। কেবল এশিয়ান পর্যায়ে নয়, অলিম্পিক পর্যায়েও আমরা পদক জিততে পারব।’ প্রথমবার এশিয়ান ইনডোরে খেলতে গিয়েই পদক জিতলেন এই স্প্রিন্টার। দেশের মাটিতে ৪০০ মিটারে টানা ৯ বার ও ২০০ মিটারে পাঁচবার স্বর্ণপদক জিতেছেন জহির। তাই এশিয়ান ইনডোরে পদকের প্রত্যাশা না থাকলেও ভালো করার ইচ্ছে ছিল তার, ‘জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ডসহ ৯ বার ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছি। তাই ভালো করার আশা ছিল ইনডোরে। দেশের জন্য পদক জিততে পারায় খুব ভাল লাগছে।’

এসএ গেমসে পদক জিতে আসার পর অনেক ক্রীড়াবিদকেই ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জহির রায়হান বলেন, ‘এশিয়ান পর্যায়ে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে পদক জিতে আসার পর আমরাও কিছু প্রত্যাশা করি সরকারের কাছ থেকে।’ নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ২.১৬ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে রুপা জিতেছিলেন মাহফুজুর রহমান। এবার এশিয়ান ইনডোরে ২.১৫ মিটারে জিতলেন ব্রোঞ্জ। বৈশ্বিক আসরে ভাল করতে হলে বিদেশের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের বিকল্প নেই বলেই মনে করেন হাইজাম্পে ব্রোঞ্জজয়ী মাহফুজুর রহমান, ‘আমার একটাই চাওয়া, বিদেশের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন। এর কোন বিকল্প নেই। বিদেশে অনুশীলন করতে পারলে আরও পদক জেতা অসম্ভব নয়।’ এশিয়ান ইনডোরে প্রথমবারের মতো ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও হাইজাম্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে আরো ইভেন্ট যোগ হলেও সেখানেও লাল সবুজের অ্যাথলেটদের পাঠানো উচিত বলে মনে করেন মাহফুজ, ‘কেবল ১০০ মিটার স্প্রিন্টই নয়, সম্ভাবনা থাকা সব ইভেন্টেই ক্রীড়াবিদ পাঠানো উচিত। তাতে বাংলাদেশের অর্জন আরও বাড়বে। যার প্রমান আমরা।’ ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে মাহফুজের কথা, ‘সামনে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, সাউথ এশিয়ান গেমস ও সাফ অ্যাথলেটিকস রয়েছে। অবশ্যই আরো ভালো পারফর্ম করে সেখানে ২.২১ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে রেকর্ড গড়তে চাই।’ যাওয়ার সময় তাদেরকে মিষ্টিমুখ করান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু।