প্রতিভাবানদের হারাতে দিবেন না ক্রীড়ামন্ত্রী

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে তৃণমূল থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করার বিকল্প নেই। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর ফলে তৃণমূল থেকে বেশ কিছু নবাগত ক্রীড়াবিদ উঠে আসে। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে যায় অসংখ্য আগামীর তারকারা। তবে এবার আর সেই প্রতিভাবানদের হারিয়ে যেতে দিতে চান না ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই চেষ্টাই করব। এখানে যারা এসেছে তারা সবাই এ বয়সে স্ব স্ব খেলার মেধাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রত্যেকের খোঁজই রাখব।’ এ বছর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১১ ডিসিপ্লিনে ১৬৪ জন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদকে ঢাকায় তিন সপ্তাহের অনুশীলন করিয়েছে। প্রত্যেক খেলায় পাঁচজন করে ক্রীড়াবিদকে সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে সুপারিশপত্র দেবে এনএসসি। পাঁচজনের বাইরে যারা রয়েছে, তাদের নিরাশ না হওয়ার জন্য পাপন সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর উদাহরণ দিয়েছেন, ‘কিছুদিন আগে বালিতে গিয়েছিলাম এসিসির সভায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঙ্গাপুরে একদিন ছিলাম। সেখানে একটা বিষয় শুনলাম। তাদের বর্তমান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন এবং এখন মন্ত্রী। সুতরাং কোনো সময় ব্যর্থ হওয়া মানেই শেষ নয়। তোমরা পাঁচজনের বাইরে যারা রয়েছ, তাদেরও সম্ভাবনা আছে এবং তোমাদেরও খোঁজ রাখব আমি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এখানে মাত্র তিন সপ্তাহের একটা প্রশিক্ষণ হয়েছে। এরপর যদি তাদের ধারাবাহিকতা না থাকে অথবা তারা কি করছে সেটা খোঁজ না রাখতে পারি, তাহলে তো আর এই কর্মসূচির সার্থকতা নেই। আমরা প্রতিভাবানদের ডাটাবেজ তৈরি করব।’ হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, কাবাডি, ভারোত্তলন, সাইক্লিং, জিমন্যাষ্টিকস, জুডো, দাবা, বক্সিং, ক্রিকেটের প্রতিভাবানরা তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৮টি থেকে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিভাবান প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছিল এনএসসি। সেখান থেকে বাছাই করে ১৬৪ জন ঢাকায় চূড়ান্তভাবে তিন সপ্তাহের অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন। জানা গেছে, এই প্রকল্পে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।