ধর্ষণের দায়ে ব্রাজিল তারকার বড় শাস্তি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

অভিযোগ বেশ পুরোনো। লম্বা সময় ধরে আছেন জেলে। এবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দানি আলভেজ। ২ বছর আগে বার্সেলোনার একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কাতালুনিয়ার শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে তাকে দেড় লাখ ইউরো জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার সেই অর্থ পাবেন যৌন নিপীড়নের শিকার ওই নারী। কাতালুনিয়ার আদালত রায়ে বলেছেন, ‘ভুক্তভোগী সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

আলভেজ জোরপূর্বক যৌনতা বজায় রাখার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় প্রসিকিউটর ৯ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত শুনানির পর ৪ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। বাদী ওই নারীর অভিযোগ, বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে তাকে ধর্ষণ করেন আলভেস। এই অভিযোগে পরের মাসে বার্সেলোনায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই বার্সেলোনার একটি কারাগারে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার। স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বার্সেলোনার সাটন নামে এক নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে নাচার সময় সেই নারীর সম্মতি ছাড়াই তার অন্তর্বাসের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দেন আলভেজ।

এরপর নাইটক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শুরুতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন আলভেস। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় টিভি চ্যানেল অ্যান্তেনা থ্রি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার বলেন, ওই নারীকে তিনি চেনেন না। পরে গত এপ্রিলে সাক্ষ্য পরিবর্তন করেন তিনি। স্বীকার করে নেন অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা। তবে দুইজনের সম্মতিতে তা হয়েছিল বলে দাবি করেন আলভেস। বার্সেলোনার একটি আদালত গত বছরের আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভিযুক্ত করে। তার ৯ বছরের জেল চান স্পেনের এক প্রসিকিউটর। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তখনকার ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী জোয়ানা সানস। ব্রাজিলের হয়ে আলভেস খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। তবে মামলাটি শুধুমাত্র আলভেজের প্রোফাইলের কারণে নয় বরং লিঙ্গ সহিংসতা স্পেনে ক্রমেই বেড়ে ওঠায় বিষয়টি আরো প্রভাবশালী হয়ে উঠে আলাদা মনোযোগ আকর্ষণ করে।