ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিচ্ছেন বা দিয়েছেন, এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে মাদ্রিদে বাড়ি খোঁজা শুরু করেছেন এমবাপ্পের মা হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ফাইজা লামারি। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারকা ফরোয়ার্ডের এজেন্টও। ইউরোপীয়ান সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২৫ বর্ষী এমবাপ্পের পরিবারকে সম্প্রতি মাদ্রিদে বাড়ি খুঁজতে দেখা গেছে। স্পেনের রাজধানীতে বিশ্বজয়ী তারকার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে দেয়া তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেলেভো। সংবাদে বলা হয়েছে, এমবাপ্পের মার সঙ্গে তার দলের অন্যান্য সদস্যরা মাদ্রিদে গিয়েছেন। সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের জন্য পছন্দসই বাড়ি খুঁজতেই স্পেনের রাজধানীতে আসেন তারা, যা একই সঙ্গে হবে নিরাপদও।
স্পেনের মাঝেমধ্যেই আক্রমণের শিকার হন খেলোয়াড়রা। সে কারণে আগেভাগে সময় নিয়ে সঠিক সম্পত্তি খুঁজে পেতেই এই সফর তাদের। অনেক বছর থেকেই এমবাপ্পেকে পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে রিয়াল। শেষ পর্যন্ত তাকে পেতে যাচ্ছে তারা। প্রায় প্রতি মৌসুমেই তাকে পাওয়ার গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে দেখা যায় পিএসজিতেই। তবে এবার সত্যি সত্যি রিয়ালের সঙ্গে এমবাপের চুক্তি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে মাদ্রিদ ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মার্কা সহ বেশ কিছু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। মার্কার সেই প্রতিবেদনে জানা যায়, এমবাপের সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তির বিষয়টি শেষ করেছে রিয়াল। আর এই চুক্তিটা হয়েছে ৫ বছরের জন্য। তবে মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়ার পরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে মার্কা। রিয়ালে মৌসুম প্রতি এমবাপ্পের বেতন হবে ২০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া সাইনিং বোনাস ও অন্যান্য বোনাসসহ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করবেন এই ফরাসি তারকা। এর আগে ২০২২ সালে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার বিষয়টি পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে আটকে রাখে পিএসজি। এর জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর দ্বারস্থ হন পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। প্রেসিডেন্টের অনুরোধে প্যারিসে থেকে যান। তবে এবার আর তাকে ধরে রাখতে পারছেন না খেলাইফি। এদিকে দুই দিন আগেও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন এমবাপ্পে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ফ্রান্স সফর উপলক্ষে গত মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন ম্যাক্রোঁ। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় এমবাপ্পেকেও। তবে সেখানে এবারও এমন কোনো চেষ্টা করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।