ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারছেন না বধির ক্রিকেটাররা!

টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারছেন না বধির ক্রিকেটাররা!

তারা শুনতে পান না। মুখে কথাও বলতে পারেন না। অথচ বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েও খেলতে যেতে পারছেন না দেশের বধির ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) আর্থিক সহায়তা দিলেও সভাপতি আবদুল করিমের অনাগ্রহের কারণে এই বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের। এমন তথ্যই জানিয়েছেন বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হাসান। মুখে বলতে না পারলেও ইশারায় তিনি জানান, ‘বিসিবি ও বিওএ আট লাখ টাকা দিয়েছে। আরও আট লাখ টাকার প্রায়োজন। ফেডারেশনের ফাণ্ডে টাকা থাকলেও সভাপতি সই করে তা দিচ্ছেন না। এর কারণ তার কাছে রহস্যজনক।’

তবে সভাপতি আবদুল করিমের কথা, ‘ফা- সমস্যা। তবে আমরা চেষ্টা করছি দল পাঠানোর।’ ২০১৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বধির বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশিয় টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ৬-১২ মার্চ আরব আমিরাতের শারজাহতে অনুষ্ঠিত ছয় দেশের এই বধির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়ও অংশ নেয়ার কথা অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪ মার্চ দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের। কামরুল হাসান জানান, ‘আমাদের ২২ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। বিসিবি তিন লাখ ও বিওএ পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে। অনেক বলে কয়ে দুবাইতে থাকা ও খাওয়া ফ্রি করতে পেরেছি। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ আসার খরচা অর্ধেক করে দিয়েছে। এতে খরচা কমিয়ে ১৬ লাখ টাকায় আনতে পেরেছি। বিসিবি ও বিওএ থেকে আট লাখ পেয়েছি। আরও আট লাখ টাকার প্রয়োজন। ফেডারেশনের ফাণ্ডে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে। অথচ আমাদের সভাপতি আবদুল করিম সাহেব সেখান থেকে অর্থ ছাড় দিচ্ছেন না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না পারলে বধির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ডিআইসিসি) থেকে আমাদের অধিভুক্তির নাম কাটা যাবে। তাই এ বিষয়ে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দ্বারস্ত হচ্ছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত