জাকের আলির স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান জাকের আলি। কিন্তু কোনো ম্যাচ না খেলেই সেবার বাদ পড়েন তিনি। পরে অক্টোবরে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় জাকেরের। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য দেখিয়ে ফের নজর কাড়েন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাকে বিবেচনায় নেননি নির্বাচকরা। এতে ক্ষুব্দ হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তার কথাটা সবসময় আপনারা ভুলে যান, আপনারা কেউ কিন্তু আসলে কখনোই জিজ্ঞেস করেন না। ছেলেটার হয়তো চেহারা একটু কালো, এই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডও তাকে দেখে না ঠিকমতো।’ অবশ্য তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে বেশিসময় অপেক্ষা করতে হলো না। সিরিজ শুরুর আগমুহূর্তে স্পিনার আলিস আল ইসলামের চোটে কপাল খুলে যায় তার। সেই কপাল নিয়ে এবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই একাদশে সুযোগ পেয়ে গেছেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ফিনিশারের ভূমিকায় জাকের আলির ব্যাটিং ছিল প্রশংসনীয়।

১৪ ম্যাচ খেললেও ব্যাটিং পেয়েছেন ১০ ইনিংসে। টেলএন্ডারে ব্যাট করেও তার ইনিংস দলের জন্য কার্যকরী ছিল। ১০ ইনিংসে ৯৯.৫ গড় ও ১৪১.১৩ স্ট্রাইকরেটে ১৯৯ রান করেছেন জাকের। বিপিএলে ভালো খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। দলে ডাক পাওয়ার পর বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সবসময় ইচ্ছা ছিল পরিপূর্ণ হয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করেই জাতীয় দলে আসা। আলহামদুলিল্লাহ বিপিএলে ভালো পারফর্মম্যান্সের কারণে সুযোগ হয়েছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেয়ার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে টার্গেট থাকবে যেরকম টিম প্ল্যান দেবে।’ এরপরেই জানান, নিজের আবেগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান জাকের, ‘অনূভুতি একদম স্বাভাবিক। কারণ আমি আগেও বলেছি যে, ইমোশন কন্ট্রোল করে চলি সবকিছুতে। আমি একদম নরমালি ছিলাম। আসলে খুশি হওয়ার কোনো কিছু নেই, আমি সবসময় চিন্তা করি যে, ভালো কিছু করতে হবে। খারাপ করলে একদম হতাশ হই না, ভালো করলে একদম খুশি হয়েও যাই না। নরমাল স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। ইমোশন ধরে রাখার চেষ্টা করি।’