ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টি-টোয়েন্টি সিরিজ

আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্ষেপ ঘুচবে বাংলাদেশের

আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্ষেপ ঘুচবে বাংলাদেশের

২০১৩ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ দল। এক দশকেরও বেশি সময় কেটে গেলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠে আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ এসেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে। আশার বেলুনে হাওয়া দিচ্ছে আরও একটি বিষয়। আর তা হলো ২০২২ সাল থেকে এখন অবধি কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি শান্ত-মোস্তাফিজরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি লঙ্কানরা জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। ফলে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ৩ রানে হারায় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়ায় টাইগাররা। ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় শান্ত-লিটনরা। এবারই প্রথম তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। অতীতে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। ২০১৩ সালে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নেয় দুই দল। ঘরের মাঠে এক ম্যাচ সিরিজের ১৭ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেয় বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচ যথাক্রমে- ২ রান এবং ৩ উইকেটে জিতে নেয় লঙ্কানরা। ২০১৮ সালে আবারও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে আথিতেয়তা দেয় বাংলাদেশ। ৬ উইকেট এবং ৭৫ রানে সিরিজের ওই দুই ম্যাচেই হেরে যায় টাইগাররা। এবার জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করায় চাপে পড়ে যায় বাংলাাদেশ। কারণ ২০২২ সাল থেকে কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি টাইগাররা। অবশ্য দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এতে তৃতীয়টি সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে রূপ নেয়। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জয় এবং ১০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে এই ফরম্যাটে নিজেরা যে দুর্বল দল নয় সেটি প্রমাণ করে টাইগাররা। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগামী জুনে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৮ বলে ৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখেন টাইগার দলনেতা। ম্যাচ জয়ী ইনিংসের সুবাদে ফর্মও ফিরে পান তিনি। সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শান্তর অফ-ফর্ম চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। বোলারদের দারুণ নৈপুন্যে বড় সংগ্রহ দাড় করাতে পারেনি সফরকারী লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে বোলারদের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন শান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বেশি ম্যাচ না খেলার পরও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য বিশেষভাবে লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের প্রশংসা করেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই উন্নতি করেছে সে (রিশাদ)। তার বোলিং লাইন ভালো এবং ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বল করতে পারে। বোলিংয়ের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করছে সে। যেভাবে বোলিং করছে, যদি এটি ধরে রাখতে পারে তাহলে আগামী দিনে আরও ভালো বোলিং করতে পারবে রিশাদ।’ শান্তর মতে, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বোলারদের পারফরমেন্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। একাদশে পরিবর্তনের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। প্রথম দুই ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলেছে তারা। এজন্য শেষ ম্যাচেও একই স্কোয়াড ধরে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছিল শ্রীলঙ্কা। স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়ার জায়গায় দলে নেয়া হয়েছিল পেসার দিলশান মাদুশঙ্কাকে।

তৃতীয় ম্যাচেও পরিবর্তন আনতে পারে লঙ্কানরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত