ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘সম্মিলিত টিম ওয়ার্কে এই সাফল্য’

দেশে ফিরলেন সাফজয়ী মেয়েরা

দেশে ফিরলেন সাফজয়ী মেয়েরা

শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন নিয়ে নেপালে পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা। স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। পরে ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাঘিনীরা। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। সেখানে ভারতকে ৩-২ গোলে হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। গোলরক্ষক ইয়ারজানের বীরত্বে ৩-২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিশ্চিত করে লাল সবুজ দল। এর আগে ২০১৭ সালে এই শিরোপা জিতেছিল মেয়েরা।

গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ বিমান এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে। বাফুফের নারী কমিটির অনেকেই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন প্রীতিদের অভ্যর্থনা জানাতে। কেউ ফুলের মালা, কেউ মিস্টি মুখ করিয়েছেন সাফ জয়ী নারীদের। বাফুফের নারী ফুটবল নিয়ে একদশকের বেশি সময় কাজ করছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। বিমানবন্দরে তিনি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি, ‘সাফের দু’টি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ টানা চ্যাম্পিয়ন। সিনিয়র সাফেও আমরা চ্যাম্পিয়ন। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান।’

নারী ফুটবলারদের এই অর্জনকে কিরণ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘সম্মিলিত টিম ওয়ার্কে আমাদের এই সাফল্য। মেয়েরা মাঠে যেমন কষ্ট করে। তাদের সঙ্গে প্রত্যেক কোচিং স্টাফের নিরলস পরিশ্রম এবং আমাদেরও প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সাফল্য।’ নারী ফুটবলে কোচ হিসেবে কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। নিজে জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন। কোচিং করিয়েছেন একাধিকবার। দেশের ফুটবলে অন্যতম শীর্ষ কোচ নারী দলে কাজ করা একটু বিশেষ ধরন বলে আখ্যায়িত করলেন, ‘মেয়েদের জন্য আলাদা ফিলিংস থাকে পুরো দেশবাসীরই। যা কাজ করতে অনেক সহায়ক করে আমাদের।’ অনূর্ধ্ব ১৬ দলের অনেক নারী ফুটবলারই প্রথম বারের মতো বিদেশ সফর করেছেন। অনেকেরই দেশের জার্সিতে প্রথম খেলা। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও শিরোপা জয় সম্পর্কে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৬ মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর্যায়ে মাত্র প্রবেশ করা। প্রথমবার তারা বিদেশ ও জাতীয় দলে খেললেও তারা সর্বোচ্চ এফোর্ট দিয়েছে, যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তারা মাঠে লড়েছে বাইরে ফেডারেশনের সভাপতি থেকে শুরু করে সবাই সহযোগিতা করেছে।’ ফাইনাল মানেই স্নায়ুচাপের লড়াই। অনূর্ধ্ব-১৯ ও ১৬ দুই টুর্নামেন্টেই খানিকটা স্নায়ুচাপ ছিল ফুটবলারদের। সেটা নিরসনের চেষ্টা করেছেন কোচ, ‘অনেক সময় অনেকে প্রেশার নিতে পারে না। দুটি ফাইনালেই আমরা প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। ফাইনালও অন্য ম্যাচের মতোই একটি বলে স্নায়ুচাপ কাটানোর চেষ্টা করেছি।’ সাফ জয়ী মেয়েদের অভ্যর্থনা জানাতে বিমান বন্দরে আরো উপস্থিত ছিলেন বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম (নুরু), বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এবং কমিটি ফর ওমেন্স ফুটবলের অন্যান্য সদস্যরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত