মেসির ৫০ মিনিটের ঝলকে শেষ আটে মায়ামি

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করেছিল ইন্টার মায়ামি। ২-২ গোলে ড্র হওয়া সেই ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজ দুজনেই। ফিরতি লেগের খেলায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গোলের দেখা পেয়েছেন এ দুই তারকা। সেই সঙ্গে মায়ামিও ম্যাচটি জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ আট নিশ্চিত করেছে মেসির দল। এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন সুয়ারেস। বক্সের একটু বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের দুই জনের মাঝখান দিয়ে দারুণভাবে বল বাড়িয়ে দেন মেসি।

বক্সের ভেতর বল ধরে সুয়ারেস আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে। ২৩তম মিনিটে বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ন্যাশভিলের বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়েগো গোমেস। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তিনি আলটো টোকায় বল দেন মেসিকে। বল ধরেই বাঁ পায়ের গতিময় শটে জালে জড়িয়ে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ৫০তম মিনিটে তুলে নেয়া হয় তাকে। তার বদলি হিসেবে নামা রবার্ট টেইলর ৬৩তম মিনিটে গোল করে আরও এগিয়ে দেন দলকে। সুয়ারেসের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ফিনল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার। খেলার একদম শেষ মুহূর্তে ন্যাশভিলের হয়ে একটি গোল ফিরিয়ে দেন স্যাম সারিজ। ৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে পৌঁছে যায় মায়ামি। মেসি যখন বেরিয়ে যান, চোটের কোনো লক্ষণ বোঝা যায়নি তার পদক্ষেপে। তবে ম্যাচের পর কোচ জেরার্দো মার্তিনো জানালেন চোটের কথা। মেজর লিগ সকারের পরের ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে না বলেও ধারণা করছেন কোচ।

‘লিওর (মেসি) ডান পায়ের পেশিতে সমস্যা হয়েছে। ওকে নিয়ে আমরা কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাই না। প্রথমার্ধের পর চেষ্টা করে দেখেছি যে, আরেকটু সময় খেলতে পারে কি না। তবে এই সমস্যা তাকে অস্বস্তিতে ফেলছিল, এজন্যই মাঠ থেকে তুলে নিয়েছি।’ ‘ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। ধারণা করতে পারি, পরের ম্যাচে শনিবার ওকে পাওয়া যাবে না। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। কিছু পরীক্ষা করাতে হবে তার, এরপর আমরা দেখব সে কেমন অনুভব করছে।’ মেজর লিগ সকারে মায়ামির আগের ম্যাচেও খেলতে পারেননি মেসি। সেদিন মন্ট্রিয়ালের কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় তারা। কোচ মার্তিনো বললেন, মেসিকে সব ম্যাচে না পাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি তাদের ছিলই আগে থেকে।