ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবহেলায় ফুটবলার রাজিয়ার মৃত্যু, স্বামীর দাবি

অবহেলায় ফুটবলার রাজিয়ার মৃত্যু, স্বামীর দাবি

সদ্যজাত পুত্রকে রেখে পরপারে পাড়ি জমালেন ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। গত বুধবার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। রাজিয়ার এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার স্বামী ফুটবলার ইয়াম রহমান। ফুটবলার হিসেবেই বাফুফে ভবন সংলগ্ন টার্ফে তাদের পরিচয় হয়েছিল। তারপর দেড় বছর প্রেম করে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। রাজিয়ার অকাল মৃত্যু সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন ইয়ামের। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তিনি রাজিয়ার মা ও তার ভাইর অবহেলাকে দায়ী করেছেন। ইয়াম রহমান বলেন, ‘বিকালে রাজিয়ার দাফন শেষ করে এখনো কবরের পাশে বসে আছি। কি থেকে কী হয়ে গেল। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো সে বেঁচে যেত। কিন্তু তাকে নেয়া হয়নি। আমি এখানে এসে শুনলাম, রাজিয়া আমার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য তার মাকে অনুরোধ করেছিল ফোনে ধরিয়ে দিতে। তার মা সেটাও দেয়নি। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে এর বিচার চেয়েছি। তারা আগামীকাল (শনিবার) বসবে বলে জানিয়েছেন।’ ইয়াম রহমান এখন তার শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে তার এক ভাই থাকেন বগুড়ায়। সেই ভাইয়ের স্ত্রী নাকি জানিয়েছেন বাচ্চাটা লালন-পালনের দায়িত্ব নেবেন, ‘আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। মা আসতেছেন। তিনি এখন পথে। তিনি আসলেই শিশু সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাচ্চাকে আমার ভাবীর কাছে বগুড়ায় দিয়ে আসব।’ রাজিয়া সুলতানা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে সাফ জেতা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন। মা হওয়ার পরও ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রাজিয়া। ‘গত বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল তখন সে খেলেছে এবং ওই সময়ই আমাকে সুংসংবাদ দিয়েছিল- ‘আমি বাবা হতে চলেছি। তখন রাজিয়া বলেছিল তার ফুটবল খেলার কী হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, বাচ্চা হওয়ার পর আবার খেলবা। এখন নিজেই সবকিছু থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল’- আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন রাজিয়া সুলতানার স্বামী ইয়াম রহমান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত