শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হবে কবে?

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০১৯ সালে ঢাকার পূর্বাচলে একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নৌকার আদলে এটির নামকরণ করা হয় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রায় ৭০০ কোটি টাকায় স্টেডিয়ামটি নির্মিত হবে। ২০২২ সালের জুলাইতে কাজ শুরুর ঘোষণা দিলেও করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় এর কার্যক্রম। নিজস্ব অর্থায়নে বিসিবির এই মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবম বোর্ড মিটিংয়ে বেশ কিছু কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। এই মিটিংয়ে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশের নকশা, সুযোগ সুবিধা ও ৫টি ফেডারেশনের জন্য বরাদ্ধকৃত জায়গা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। প্রেজেন্টেশনের পর ৫টি ফেডারেশনকে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে জায়গা বরাদ্ধ দেয়া নিয়ে পুনরায় ভাবতে বলেন বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। সংশ্লিষ্ট এক পরিচালক জানিয়েছেন, আমাদের ভাবনা, এখানে অন্য ফেডারেশনকে জায়গা বরাদ্ধ দিলে ভবিষ্যতে নানা ধরনের ঝামেলা কিংবা দ্বন্দ্ব হতে পারে। এ সময় ফেডারেশনের জন্য আলাদা জমি কেনার প্রস্তাবও দেয়া হয়। বোর্ড মিটিংয়ে পরিচালকের এমন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য পাপন নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন। পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫টি ফেডারেশনকে জায়গা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছিল বোর্ড। ৫টি ফেডারেশন হলো, দাবা, জুডো, কারাতে, ওয়েটলিফটিং ও বিলিয়ার্ড-স্নুকার। এদিকে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতি দেখাশোনার জন্য ‘প্রজেক্ট মনিটরিং সেল’ গঠন করা হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া ৫ সদস্যের এই সেলের অনুমোদনও দিয়েছে বোর্ড। প্রজেক্ট মনিটরিং সেল ছাড়াও বিদেশি স্বনামধন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। গত বছর স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য দুটি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে বিসিবি। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে পপুলাস আর্কিটেকচারকে। অপর প্রতিষ্ঠানটি ছিল কক্স আর্কিটেকচার। দুটি কোম্পানিরই বিশ্বের বড় বড় স্টেডিয়াম তৈরির অভিজ্ঞতা আছে। অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ প্রতিষ্ঠান দুটি তৈরি করেছে। বিসিবি সবকিছু দেখেই পপুলাসকে চূড়ান্ত করেছে। ২০১৮ সালে স্টেডিয়ামের কার্যক্রম শুরু হয়। নৌকার আদলে নকশা প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। ২০২৩ সালে স্টেডিয়াম প্রস্তুতের লক্ষ্য থাকলেও সেটি ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে। চূড়ান্ত কাজ শুরু হওয়ার পরই বলা যাবে কবে প্রস্তুত হবে স্টেডিয়াম।