পুরস্কার বাবাকে উৎসর্গ করবেন ফিরোজা

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

যখন বুঝতে শিখেছেন, তখন থেকেই বাবা আমির-উল-হক খেলাধুলার প্রতি ফিরোজা খাতুনকে আগ্রহী করে তোলেন। সময়ের বিবর্তনে আজ ইতিহাসের পাতায় একসময়কার দেশসেরা এই অ্যাথলেট। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পর দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। তাই এই পুরস্কারটি পেলে প্রয়াত বাবা আমির-উল-হককে উৎসর্গ করতে চান ফিরোজা। তার কথায়, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার পেলে আমার প্রিয় বাবার আত্মার প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।’ ঘরোয়া অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১৯৮৬ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত দশবার দ্রুততম মানবী হয়েছিলেন ফিরোজা। পরে ২০০ মিটার স্প্রিন্টেও লড়তেন সাবলীলভাবে। তৎকালীন বিটিএমকের (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন) হয়ে খেলেছেন ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। আর ১৯৯৬ সালে বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন) হয়ে অ্যাথলেটিক্স থেকে অবসর নেন ফিরোজা। ২০১২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। এক যুগ পর পাচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক। অথচ এই পদকের জন্য আবেদনের কথাই মাথায় আসেনি ফিরোজার। তার কথায়, ‘বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকা ফিরোজা করিম নেলি আপা আমাকে জোর করে আবেদন করিয়েছেন। উনি আমাকে কাগজপত্র সবকিছু ঠিক করে দিয়েছেন। ওনার কথাতেই আমি আবেদন করেছি। উনি না বললে হয়তো আমি আবেদন করতাম না এবং এখন পুরস্কারও পেতাম না।’ বাবা বেঁচে থাকলে এই পুরস্কারটি (স্বাধীনতা পদক) তুলে দিতেন ফিরোজা, ‘আমার খেলার জগতে আসার মূলেই আমার আব্বা আমির-উল-হক। স্কুলে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আব্বা বলতেন লাফাতে পাড়লে আইসক্রিম খেতে দিব। আমিও আইসক্রিমের আশায় লাফাতাম।