ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিসেম্বরের আগেই কাজ শেষের তাগিদ

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারে আরো ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারে আরো ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার

দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে খেলেছেন লিওনেল মেসি ও জিনেদিন জিদানের মতো বিশ্বসেরা তারকা ফুটবলার। ক্রিকেটের মিনি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ হকি, বক্সার মুহম্মদ আলীর প্রদর্শনী ম্যাচসহ অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে এই মাঠে।

১৯৫৪ সালে তৈরি এ ভেন্যুটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালের জুলাইয়ে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়। শুরুতে বলা হয়েছিল কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হবে। তবে কাজ চলাকালেই পরিকল্পনায় এসেছে পরিবর্তন, কাজের কলেবর গেছে বেড়ে। যার ফলে কাজটাও গেছে পিছিয়ে। ইতিমধ্যেই মাঠের ঘাস আর অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বদলে গেছে। এখনও গ্যালারি, ফ্লাডলাইট ও প্রেসবক্স আধুনিকায়নের কাজ বাকি। প্রথমে ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল ৯৮ কোটি টাকা। পরবর্তীতে বাফুফের এলইডি ফ্লাইডলাইটের চাহিদা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধিতে সংস্কার বাজেট গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৮ কোটি টাকার বেশি। ৫০ কোটি টাকার বড় কোনো বাজেট অনুমোদন হয় একনেক সভায়। একনেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বাজেট অনুমোদন হয়েছে বেশ আগেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্বাচন ও কিছু ব্যস্ততায় এতদিন বর্ধিত বাজেটের টেন্ডার আহবান করতে পারেনি। গত সপ্তাহে ৬০ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এপ্রিলের ৮ ও ১৮ এই দুই তারিখে বিভিন্ন টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিনক্ষণ ছিল।

দরপত্র প্রাপ্তির পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এপ্রিলের মধ্যেই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। মে মাসে কার্যাদেশ প্রদান করে ছয় মাস সময়সীমা দেয়ার পরিকল্পনা ঠিকাদারদের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শামসুল আলম টেন্ডার সম্পর্কে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এলইডি ফ্লাডলাইটের জন্য ৩৮-৩৯ কোটি টাকা, গ্যালারি শেডে ১১ কোটি, চেয়ার ৪ কোটি, মিডিয়া বক্স, রাস্তা মেরামত, ডাক্তার রুম ও আনুষঙ্গিক কিছু মেরামত-সংস্কার মিলিয়ে আরও ৫-৬ কোটি টাকার টেন্ডার আমরা আহবান করেছি। টেন্ডার প্রাপ্তির পর আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাছাই করে কার্যাদেশ প্রদান করব। সকল ঠিকাদারকে আমরা ৬ মাস সময়ের মধ্যে কাজ শেষের নির্দেশ দিয়েছি।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাই দুই মাস হাতে রেখেই ঠিকাদারদের সময় দেবে বলে জানান এনএসসি পরিচালক, ‘ফ্লাডলাইট সম্পূর্ণ নতুন করে হবে। এছাড়া অন্যগুলো মোটামুটি কিছুটা হলেও করা আছে। ডিসেম্বর আমাদের সময়সীমা, এরপরও আগেই সম্পন্ন করতে চেষ্টা করব।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৮ হাজার চেয়ার বসবে। এই চেয়ারের জন্য ৪ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। চেয়ারপ্রতি ব্যয় পড়ছে ২ হাজার ২০০ টাকার একটু বেশি। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি সেখানকার রাস্তাও সংস্কার হবে। এই পথে প্রতিনিয়ত কয়েক লাখ লোক যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে ভাঙা এবং এবড়ো-থেবড়ো রাস্তার জন্য। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ফুটবল ও অ্যাথলেটিকস (মাঝেমধ্যে সাইক্লিং) স্টেডিয়াম ব্যবহার করে মূলত। নতুন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, অ্যাথলেটিকসের সরঞ্জাম, ফুটবল মাঠ সংস্কার, মিডিয়া বক্স নির্মাণ ও গ্যালারি শেডের আংশিক কাজ হয়েছে। মাঠের কাজ শেষ হওয়ার পর ফুটবল ফেডারেশন মাঠে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নতুন টেন্ডার বাস্তবায়ন হওয়ার পর ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটাই দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত