ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আবারো অলিম্পিকের স্বপ্নভঙ্গ মাবিয়ার!

আবারো অলিম্পিকের স্বপ্নভঙ্গ মাবিয়ার!

গত একযুগ ধরে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখলেও নিয়তির পরিহাসে বার বার তা ভেস্তে যাচ্ছে মাবিয়া আক্তারের। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে যাওয়া হয়নি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের কারণে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকেও যাওয়া হয়নি ওয়াইল্ড কার্ড না পাওয়ায়। এবারও প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেশের অন্যতম সেরা ভারোত্তোলক ও এসএ গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলকের। অলিম্পিকের বাছাই পর্ব বিশ্বকাপ ভারোত্তোলনে খেলা হচ্ছে না তার। ফলে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এই গেমসেও মাবিয়ার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তাসখন্দে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যেতে পারেননি মাবিয়া। এখন বিশ্বকাপে খেলতে না পারলে প্রথমবার অলিম্পিক গেমসে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে এই ভারোত্তোলকের। ৩১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ফুকেটে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। অলিম্পিকের কোটা পেতে হলে এই আসরে ভালো করতেই হবে লাল-সবুজের ভারোত্তোলকদের। সেই লক্ষ্যে তিনজন সেরা ভারোত্তোলক নির্বাচন করে ফেডারেশন। তারা হলেন- আনসারের ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার এবং সবশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের দুই সেরা ভারোত্তোলক আনসারের বাকী বিল্লাহ ও সেনাবাহিনীর স্মৃতি আক্তার। এবারের জাতীয় আসরে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনজনই।

কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না আনসারের দুই ভারোত্তোলকের। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সহসভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম আনসারকে। তারা সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই মাবিয়া আক্তার ও বাকী বিল্লাহর যাওয়া হচ্ছে না বিশ্বকাপে।’

অন্যদিকে আনসারের সহকারী পরিচালক রায়হান উদ্দিন ফকিরের কথা, ‘১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ সরকারী বন্ধ ছিল। পরদিন ফেডারেশনের চিঠি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাবিয়ার যাওয়ার বিষয়ে বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার একদিন আগেই (১৬ মার্চ) নাকি বিশ্বকাপে নাম নিবন্ধনের সময় শেষ হয়ে যায়। তারপরও মাবিয়াকে বলা হয়েছে, যদি কেনোভাবে সম্ভব হয় তাহলে যেন ফেডারেশনের মাধ্যমে চেষ্টা করে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত