ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কনিষ্ঠ এনড্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

কনিষ্ঠ এনড্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই সয়মটা খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না সেলেসাওদের। এরই মধ্যে নেইমারদের কোচও বদলেছে। নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে গত শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। শক্তিশালী ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই চোট হানা দেয় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডে। ফলে সেরা একাদশ বাছাই করাই দায় হয়ে যায়। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও নতুন কোচের হাত ধরে বেশ আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলল ব্রাজিল। তবে মিলছিল না গোলের দেখা। শেষ দিকে বদলি নেমে সেই অপূর্ণতা ঘোচালেন এনড্রিক। উঠতি তারকার গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নতুন সম্ভাবনায় পথচলা শুরু করল দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামার মাত্র ৯ মিনিটের জাল খুঁজে নিলেন এনড্রিক। আগামী জুলাইতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাওয়া ১৭ বছর ৮ মাস ২ দিন বয়সি স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলই গড়ে দিল ব্যবধান। তার নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা চার ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল ব্রাজিল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জমজমাট প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সেলেসাওরা। ৮০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর আলগা বল ফাঁকা জালে ঠেলে দেন এনড্রিক। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে তিন ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল।

আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর এবার শেষ হাসি হাসল ব্রাজিল। গত বছরের শেষ তিনটি ম্যাচের সবকটিতেই তারা হেরেছিল যথাক্রমে আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের কাছে। এর আগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করেছিল দলটি। হারের মধ্যে হাবুডুবু খেতে থাকা ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে গত জানুয়ারিতে নিয়োগ পান দরিভাল। তার অধীনে প্রথম ম্যাচেই ভাঙা পড়ল ব্যর্থতার বৃত্ত। অথচ চোটের কারণে মার্কিনহোস, অ্যালিসন, কাসেমিরো, এদারসন ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলির কেউই খেলতে পারেননি। এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার ছিটকে যাওয়ায় একাদশ সাজানোই কঠিন ছিল দরিভালের জন্য। সব মিলিয়ে সাতজনের অভিষেক হয়েছে ব্রাজিলের জার্সিতে। তাদের মধ্যে শুরুর একাদশে ছিলেন গোলরক্ষক বেন্তো, তিন ডিফেন্ডার ওয়েন্দেল, লুকাস বেরালদো, ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো ও মিডফিল্ডার জোয়াও গোমেস। পরবর্তীতে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন স্যাভিও ও পাবলো মাইয়া। নানা প্রতিকূলতা সামলে ব্রাজিল উপহার দেয় ভালো পারফরম্যান্স। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৪টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে লুকাস পাকেতার শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত তারা। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল। তারাও গোলমুখে ১৪টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে তিনটি। চোটের কারণে হ্যারি কেইনকে ছাড়া খেলতে নামা ইংলিশরাও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল আনতে পারেননি অ্যান্থনি গর্ডন, বেন চিলওয়েল ও জন স্টোনসের কেউই। বরং শেষ বাঁশি বাজার আগে ব্যবধান বাড়াতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু পিকফোর্ডকে একা পেয়েও ফের গোলের উল্লাস করা হয়নি এনদ্রিকের। অবশ্য প্রথম গোলের উচ্ছ্বাসে কেঁদেছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত