চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে বাদ

ব্যাটেই জবাব দিলেন তাওহীদ হৃদয়

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের চোটে সিলেট টেস্টে ডাক পেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে মাঠে নামা হয়নি তরুণ এই ব্যাটারের। তার বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন শাহাদত। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু শাহাদত নন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন শান্ত-লিটনরাও। ফলে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। তারপরই চট্টগ্রাম টেস্টের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সে দলে আগের টেস্টে ব্যর্থ লিটন দাস সুযোগ পেলেও না খেলেই বাদ পড়েছেন তাওহীদ হৃদয়। বাদ পড়ে তিনি ফিরেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে এবারের প্রথমবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই খেলেছেন শতকছোঁয়া ঝড়ো ইনিংস। হৃদয়ের ঝড় তোলার দিন আরেকটি সেঞ্চুরি করেছেন পারভেজ হোসেন। লিগের ছয় ম্যাচে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইনিংস সূচনার সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই উড়ছেন তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারসেরা ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে স্রেফ ৮৪ বলে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৮৪ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে হৃদয়ের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি।

ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচটিতে ২৩তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন হৃদয়। একশ’র আগে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা চাপে আবাহনী। ক্রিজে গিয়ে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেন ২৩ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বলে আবু হাশিমের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারেন তিনি। পরের ওভারে মানিক খানের বলে মারেন দুটি চার। দারুণ শুরুর পর আর পেছনে তাকাননি। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ বলে পূর্ণ করেন পঞ্চাশ। সময়ের সঙ্গে তার ব্যাটের ধার বাড়ে আরও। পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে স্রেফ ২৭ বল। সালমান হোসেনের বলে দুটি চারের পর দারুণ শটে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে ৩ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা।

সেঞ্চুরি ছুঁয়েও থামেননি হৃদয়। আরও দুটি করে চার-ছক্কায় পরের ১০ বলে করেন ২৫ রান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করে আবাহনী।

পঞ্চম উইকেটে স্রেফ ৪৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬ বল ৪৩ রান করেন মোসাদ্দেক। জাকের আলির ব্যাট থেকে আসে ৯৫ বলে ৭৮ রান।

একই দিন বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আরও একটি ছক্কাময় ইনিংস খেলেন পারভেজ। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৩তম ওভারে ফেরা বাঁহাতি ওপেনার ১১৩ বলে করেন ১১০ রান। ৬টি করে চার-ছক্কায় তিনি সাজান নিজের ইনিংস।

চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে পারভেজের সংগ্রহ ৪৩১ রান। ৪৬ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে পারভেজের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে ব্যাটিং করা পারভেজ ৬৬ বলে পূর্ণ করেন পঞ্চাশ। পরে সেঞ্চুরিতে যেতে তার লাগে স্রেফ ৩৪ বল। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আরিফুল হকের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। লিগের ৬ ইনিংসে ১৯টি ছক্কা মারলেন পারভেজ। এখানে তার ধারেকাছে নেই কেউ। পারভেজ ছাড়াও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ বলে ৬৫ রান করেন অভিজ্ঞ ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২২ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে পারভেজ যোগ করেন ৯৬ রান। একপর্যায়ে ১ উইকেটে ২১৮ থেকে হুট করেই ধসে পড়ে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। শেষ বলে অলআউট হয় তারা ২৭৯ রানে।