ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টাইগারদের হতাশ করে প্রথম দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

টাইগারদের হতাশ করে প্রথম দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

সিলেট টেস্টে ভরাডুবির পর চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম দিনে ব্যাট করতে নেমে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদশের বোলাররা। গতকাল শনিবার প্রথম দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান জমা করেছে সফরকারি লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই ফিফটি পেরিয়ে যান। দুজন এগিয়ে যান সেঞ্চুরির কাছে। তবে তিন অঙ্কের ছোঁয়া পাননি কেউ। ৯৩ রানে আউট হয়ে যান কুসাল মেন্ডিস, ৮৬ রানে দিমুথ কারুনারাত্নে। ওপেনার নিশান মাদুশকা রান আউট হন ৫৭ রানে। বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন হাসান মাহমুদ। অভিষিক্ত এই পেসারই কেবল একটু অস্বস্তিতে ফেলতে পেরেছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দিনটিতে তার প্রাপ্তি দুই উইকেট। উইকেট না পেলেও বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম। প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে সাকিব আল হাসান শুরুতে খরুচে ছিলেন। পরে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পান, একটি উইকেটও নেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ধারহীন বোলিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ভুগেছে ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতায়। ৯ রানে হানারের বলে স্লিপে মাদুশকার সহজ ক্যাচ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। কারুনারাত্নের ১৮ রানে রান আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কারুনারাত্নে একটু পর সুযোগ দেন আরেকটি। তবে সীমানায় কঠিন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব, উল্টো সেটি ছক্কা হয়ে যায়। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং উইকেটে সকালে টস জিতে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি লঙ্কান অধিনায়ক ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা। অধিনায়ককে স্বস্তি দিয়ে দারুণ উদ্বোধনী জুটি গড়ে তোলেন নিসাঙ্কা ও কারুনারাত্নে। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে রান তোলেন তারা ৮৮। তবে বাংলাদেশের উইকেট নেয়ার সুযোগ ছিল তিন দফায়। যেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি জয়, মিরাজ ও সাকিব। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারে ভাঙে এই জুটি। দ্বিতীয় রান নেয়ার চেষ্টায় রান আউট হন নিসাঙ্কা। জুটি থামে ৯৬ রানে। পরের জুটিতে কারুনারাত্নে ও কুসাল যোগ করেন ১১৪ রান। চা বিরতির একটু আগে বিদায় নেন কারুনারাত্নে। হাসান মাহমুদের নতুন স্পেলের প্রথম বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কারুনারাত্নের মতো একটুর জন্য শতরান পাননি কুসালও। সাকিবের টার্ন ও বাউন্সে স্লিপে মিরাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি দশম সেঞ্চুরি থেকে সাত রান দূরে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার নব্বইয়ে আটকা পড়লেন তিনি। পরের জুটিকে বেশি লম্বা হতে দেননি হাসান। দ্বিতীয় নতুন বলে তিনি ফেরান ম্যাথিউসকে। ১০ রানে মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও রক্ষা পেয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। সুযোগটি তিনি কাজে লাগাতে পারেনি। ২৩ রান করে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি মিরাজের হাতে। দিনেশ চান্দিমাল ও ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন অনায়াসেই। দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে তিন শেষ করেন চান্দিমাল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত