চট্টগ্রামে টেস্ট

লঙ্কান পাহাড়ে উঠতে লড়ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের মতো তারকাদের ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ভরাডুবি হয়েছে টাইগারদের। ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে চট্টগ্রামে টেস্টে অলরাউন্ডার সাকিবকে সঙ্গী করেছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম টেস্টে মত দ্বিতীয় টেস্টেও দাপট ধরে রেখেছে লঙ্কানরা। দ্বিতীয় দিনে রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে সফরকারিরা। পাঁচ ব্যাটারের ফিফটিতে ৫৩১ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য তাদের ইনিংসে ছয় ব্যাটারের কেউ সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেঞ্চুরি ছাড়া সবচেয়ে বড় দলীয় সংগ্রহ এটিই। লঙ্কানদের রানের পাহাড় দেখে মনে হচ্ছিল তাতে চাপা পড়বে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং করতে নেমে এক উইকেট হারালেও নিরাপদেই দিন পার করেছে বাংলাদেশ। জাকির হাসানের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ের জুটি ভাঙার পর তাইজুল ইসলাম এসে বাকি সময়টা নিরাপদেই কাটিয়ে দিয়েছেন। মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটি বেশ দেখে-শুনেই ইনিংসের শুরু করে। ফলে খুশি মনে দিন পার করতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু দিনের শেষ দিকে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে ম্যাচ জিততে বা ম্যাচ বাঁচাতে কাল পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। ৫৫ করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষে পিছিয়ে আছে ৪৭৬ রানে। পাহাড়সম রানের জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান এদিন শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন। চাইলেই টিকে থাকা যায় এমন উইকেটে রানের গতিও বাড়াতে থাকেন তারা। বড় রান তাড়া করতে নেমে ১২ ওভার পর্যন্ত ওপেনাররা স্বস্তিতে রাখে দলকে। শেষ বিকালে জয়-জাকির; দুজনেই ছিলেন ধীর-স্থির। লঙ্কান বোলারদের বিপদজনক বলগুলো খেলছিলেন সতর্ক পথে।

তবে শেষ দিকে হঠাৎই ছন্দপতন, লাহিরু কুমার এক দুর্দান্ত ডেলিভারির লাইন মিস করে বোল্ড হন ২১ রানে থাকা জয়, ভাঙে ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর নাইটওয়াচম্যান হিসাবে নামা তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন জয়। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান। এর আগে প্রথম দিন শেষে চার উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। চান্দিমল ৩৪ ও ডি সিলভা ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ফিফটি তুলে নেন চান্দিমল। এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের করা ইনিংসের ১০৬তম ওভারে লিটন কুমার দাসের হাতে ধরা পড়েন চান্দিমল। প্যাভিলিয়নে হাঁটার আগে ১০৪ বলে পাঁচ চার এবং দুই ছয়ের সাহায্যে ৫৯ রান করেন তিনি। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১১ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। বিরতি থেকে ফিরে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করার আগেই লঙ্কান অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান পেসার খালেদ আহমেদ।

১১১ বলে ৭০ রান করে আউট হন ধানাঞ্জায়া। এরপর ক্রিজে আসা প্রবাথ জয়সুরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন কামিন্দু। সেই সঙ্গে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে ১১২ বলে ৫৪ রান করে আউট হন কামিন্দু। এরপর দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে একপ্রান্তে ব্যাট করতে থাকেন কামিন্দু। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আসিথা ফার্নান্দো আউট হলে ৫৩১ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা।

১৬৭ বলে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।