নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি চমক

সাবিনা-সানজিদাদের দলবদল

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছেলেদের মতো মেয়েদের ফুটবল লিগেও সেরা বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েও এবার দল গড়েনি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন এই ক্লাবটি। ফলে বিপাকেই পড়েছিলেন জাতীয় নারী দলের তারকা খেলোয়াড়রা। তবে তাদের হতাশ হতে দেয়নি নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। আসন্ন লিগের জন্য সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার ও কৃষ্ণাসহ সিনিয়র দলের ১৫ জনকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। গতকাল রোববার দল গঠন সম্পন্ন করেছে নাসরিন।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের তৃণমূলে নারী সংগঠক হিসেবে পরিচিত নাসরিন আক্তার বেবিই এই একাডেমির কর্ণধার। তিনি ফুটবল, হ্যান্ডবলসহ একাধিক খেলায় দল গঠন করেন। এবারের দলবদল নিয়ে তার কথা, ‘আসলে আন্তরিকতাই বড় বিষয়। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি, মেয়েদেরও ইচ্ছে ছিল। সবকিছু মিলিয়ে এটা সম্ভব হয়েছে।’ বড় বাজেটের দল গড়ার পেছনের রহস্য সম্পর্কে বেবির কথা, ‘কিছু স্পন্সর পেয়েছি, কিছু জোগাড়ের চেষ্টা করছি।’ কিংস নারী ফুটবলের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। তারা এবার দল গড়েনি। কিংস দল না গড়ায় সাবিনা-সানজিদাদের লিগ খেলা ছিল অনিশ্চয়তায়। শেষ মুহূর্তে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিতে সাবিনারা খেলছেন। কিংসে সাবিনারা ভালো অঙ্কের সম্মানী পেতেন। নাসরিনে সেই অঙ্ক খানিকটা কাছাকাছিই পাবেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিতে খেলা নিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এই দলে দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আপনাদের মধ্যে অনেক প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা দিন শেষে ফুটবলার। ভালোবেসে, পেশাদারিত্বের টানেই খেলছি।’ নাসরিন স্পোর্টিংয়ের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিনিয়র ফুটবলাররা আতাউর রহমানে। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয় ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুনসহ আরও কয়েকজন। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হতে পারেনি। ২০২২ সালে সাবিনারা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে। নারী ফুটবলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আবাহনী-মোহামেডানের মতো প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলো এগিয়ে আসছে না।

এখানে ক্লাবের সদিচ্ছার অভাব দেখছেন অধিনায়ক সাবিনা, ‘পুরুষ ফুটবলারদের একজনের পারিশ্রমিক দিয়ে একটি নারী দল গঠন করা যায়। ফেডারেশনের একার পক্ষে তো সম্ভব নয়। অন্য ক্লাবগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ এবারের নারী লিগে নয়টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে। আর্মি স্পোর্টস ক্লাব খেলার কথা ছিল না। কাল শেষ দিনের শেষ মুহুর্তে তারা দলবদলে অংশ নেয়। বাকি আট ক্লাবের মধ্যে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত ক্লাব ফরাশগঞ্জ। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তরে রেলিগেশন এড়ানোর লড়াইয়ে থাকা ফরাশগঞ্জের নতুন চ্যালেঞ্জ নারী দল। ক্লাবটির কর্মকর্তা বাবুরাম বলেন, ‘আসলেই আমাদের জন্য কষ্টকর। এরপরও নারীদের অগ্রযাত্রার সঙ্গী হতে আমরা দল গঠন করেছি।’