মাইলফলক পেরিয়ে এলিট ক্লাবে মুমিনুল

প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুঃসময় পার করছে বাংলাদেশ। কঠিন অবস্থানের মধ্যেই নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের চতুর্থ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ৪ হাজার রানের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তিনি।

গতকাল সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তবে এই কীর্তি গড়তে দেশের অন্য তিন ব্যাটারদের চেয়ে একটু বেশিই সময় নিলেন মুমিনুল। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ১২ সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার। অভিষেকের পর থেকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে যে ধারাবাহিকতা ছিল মুমিনুলের শেষ দুই বছরে তাতে বাঁধ সেধেছে। মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই তার পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শূন্য থেকে হাজার রানে পৌঁছতে মুমিনুল কেবল ২০ ইনিংস নিয়েছিলেন। হাজার রান থেকে দুই হাজারে যেতে খেলেছেন ২৭ ইনিংস। পরের হাজার রানে পৌঁছতে নেন আরো ২৯ ইনিংস। অথচ এবার ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার রানে পৌঁছেতে তার লাগল ৩৭ ইনিংস। এই মাইলফলক ছুঁতেও অন্যদের চেয়ে বেশি সময় নিয়েছেন এক সময়ের টেস্ট স্পেশালিস্ট।

তামিম ১০৬ ইনিংসে চার হাজার রান পেয়েছিলেন। সাকিবের লেগেছিল ১০৮ ইনিংস। মুমিনুলের লাগলো ১১৩ ইনিংস। সবার প্রথমে ৪ হাজার রান করা মুশফিকের লেগেছিল ১২২ ইনিংস। দেশের ক্রিকেটে প্রলয়ঙ্কারী ঝড় হয়েছিল সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি তাকে এক বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব তখন তার কাঁধে। এ ফরম্যাটে তখন নিয়মিত খেলছেন কেবল মুমিনুল। তাকেই বিসিবি বেছে নেয় অধিনায়ক হিসেবে।

অপ্রস্তুত সেই অধিনায়কের জন্য অধিনায়কত্ব গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। দুই বছরের ব্যবধানে মুমিনুল হয়ে উঠেন ‘খলনায়ক’। দলকে ঠিকঠাক মতো পরিচালনা করতে না পারার পাশাপাশি নিজের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক না হাওয়ায় দ্বিমুখী চাপে প্রবলভাবে পিষ্ট হন মুমিনুল। বাধ্য হয়ে তাই অধিনায়কত্বও ত্যাগ করেন। অধিনায়কত্ব মুমিনুলের পারফরম্যান্সে কতোটা প্রভাব ফেলেছে তা এ পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হবে। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৯১২। ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৬১৩। সেঞ্চুরি ছিল আটটি। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নিজেকে নতুন করে গড়ছেন মুমিনুল। আট ম্যাচে এখন পর্যন্ত করেছেন ৪৮৩ রান। গড় ৪০.২৫। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ২ ফিফটি। তবে তার থেকে প্রত্যাশাটা আরো অনেক বড়, অনেক উচুঁতে। ২২ গজে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে সামনে তাকে দায়িত্ব বাড়াতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।