শেখ রাসেলের স্বপ্ন ভেঙে সেমিতে মোহামেডান

শুরুর মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৭০ মিনিট পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে লিড ধরে রেখেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বিদায়ের শঙ্কায় হতাশা পেয়ে বসেছিল সাদা কালো সমর্থকদের মনে। তবে পরের কুড়ি মিনিটের গল্প শুধুই মোহামেডানের। পাশার দান উল্টে দিয়ে রোমাঞ্চকর জয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ২-১ গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। ঢাকার বাইরে হলেও চৈত্রের তীব্র গরমে বেশ কষ্ট সয়েই খেলেছেন দুই দলের ফুটবলাররা। তাই দুই অর্ধেই রেফারি কুলিং ব্রেক দিয়েছিলেন। গত দুই মৌসুম ধরে শুক্র ও শনিবার লিগের ম্যাচ এবং ফেডারেশন কাপ মঙ্গলবার এই রীতিতে চলছে দেশের।

ম্যাচের শুরুতেই সিকু সিল্লার দ্রুততম গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেলই। মাত্র ২৬ সেকেন্ডে ফ্রি কিক থেকে বক্সের উপর দুর্দান্ত হেড করে গোলটি করে সিকু সিল্লা (১-০)। মোহামেডানের গোলকিপার সুজন লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি। চলতি মৌসুমে স্বল্প সময়ে গোলের রেকর্ড এটি। মোহামেডান পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পেতে মোহামেডানকে বেগ পেতে হচ্ছিল। শেখ রাসেলের যখন সেমির স্বপ্ন দেখছে ঠিক তখনই সাদা কালো শিবিরের ত্রাতা হয়ে আসেন উজবেক মিডফিল্ডার মুজাফফরভ। ম্যাচের ৭১ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের সামনে থেকে মুজাফফরভের জোরালো শটে ম্যাচে সমতা আনে মোহামেডান (১-১)।

মোহামেডানের জয়সূচক গোলটি করেন জাফর ইকবাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে বল পান জাফর। প্রথম দফায় তার নেয়া শট গোলকিপার মিতুল মারমা ব্লক করেন। ফিরতি বলে আবার শট নিলে ডিফেন্ডার গোললাইন সেভ করতে ব্যর্থ হন (২-১)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। ১৬ এপ্রিল দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে। লড়বে কিংস ও রহমতগঞ্জ।