ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাসুমের ৫ উইকেট ইমরুলের ৯২

মোহামেডানের ব্রাদার্স জয়

মোহামেডানের ব্রাদার্স জয়

নাসুম আহমেদ আর মেহেদী হাসান মিরাজের মায়াবী ঘূর্ণি জাদুতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে অল্পতেই আটকে রেখেছিল মোহামেডান। ফলে সহজ জয়ই পাওয়ার কথা ছিল ঐতিহ্যবাহি ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইটদের। কিন্তু জয়ের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হলো ইমরুল কায়েসকে। এক প্রান্তে আগলে রেখে মোহামেডানকে কষ্টের জয় এনে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম নিলেন ৫ উইকেট। অফ স্পিনার মিরাজও জ্বলে উঠে ৩ উইকেট নেয়ায় ব্রাদার্স গুটিয়ে যায় দেড়শর আগে। তাদের গড়ে দেয়া মঞ্চে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন অধিনায়ক ইমরুল। দারুণ জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রাথমিক পর্ব শেষ করল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩৬ রানের লক্ষ্য ২৩.২ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা। ছোট্ট রান তাড়ায় ইমরুল একাই করেন ৭১ বলে অপরাজিত ৯২।

ম্যাচের সেরা নাসুম খেলা শেষে বলেছেন, তীব্র তাড়না নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন এই দিনের। ‘অনেক দিন ধরে উইকেটের একটা ক্ষুধা নিয়ে ছিলাম। দুয়েকটি করে উইকেট পেতাম প্রথম চার ম্যাচে মনে হয় দুইটি উইকেট পেয়েছি। বোলিংয়ের তালিকা যখন দেখতাম, একদম তলানিতে আছি... তো অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলাম আমি যে, একটা ম্যাচে ভালো করব।’ এই সংস্করণে তার আগের ৫ উইকেট ছিল ২০১৯ প্রিমিয়ার লিগে। সেবার ব্রাদার্সের বিপক্ষেই ৪৯ রানে ৫ উইকেট নেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। মাঝের পাঁচ বছরে ৫৬ ইনিংসে দুইবার চার উইকেট পেয়েছেন। অবশেষে ৫ উইকেটের ভুলতে বসা স্বাদ পেলেন আবার। লিগে এখন পর্যন্ত ১১ ইনিংসে নাসুমের শিকার ১৮ উইকেট।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা মোহামেযানকে দ্রুতই সাফল্য এনে দেন আবু হায়দার। প্রথম ওভারে আব্দুল মজিদকে ফেরান দারুণ ফর্মে থাকা এই বাঁ-হাতি পেসার। পরের ওভারে নাসুমের শিকার রহমতউল্লাহ আলি। বাঁ-হাতি এই স্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অভিজ্ঞ ইমতিয়াজ হোসেন। স্লিপে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ দুটি ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্রাদার্সের শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জাকিরুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান। জাকিরুল ২৫ রানে ফিরলে জোট বাধেন মাহমুদুল ও রাহাতুল ফেরদৌস। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নাসুম ভাঙেন ৫৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। ৪৫ রান করে ফেরেন মাহমুদুল। রাহাতুল আরো কিছুক্ষণ এগিয়ে নেন ব্রাদার্সকে। তাকেও ৪৫ রানে থামান নাসুম। অন্য প্রান্তে মিরাজ জোড়া আঘাত করলে ১৫০’র আগেই গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স। রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ইমরুল। অন্যপ্রান্তে রনি তালুকদার যেন দর্শক বনে যান। ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রনির অবদান স্রেফ ১০ রান। এরপর ১ রান করে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম। প্রথম সাত ম্যাচে ছয়টি ৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেলা তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান সবশেষ চার ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন ২ অঙ্ক ছুঁতে। লক্ষ্য কঠিন না হলেও রুবেল মিয়া, মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হকরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রাথমিক পর্বের আট ম্যাচে এক ফিফটিতে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ মাত্র ১৫৭ রান। তবে মোহামেডানকে বেগ পেতে হয়নি জিততে। মিরাজকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ইমরুল। ৩৬ বলে ৫০ ছোঁয়ার পর একই ছন্দে এগোতে থাকেন মোহামেডান অধিনায়ক। রহমতউল্লাহর বলে ছক্কায় দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। প্রাথমিক পর্বে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট মোহামেডানের ঝুলিতে। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগ শুরু করবে মোহামেডান। সমান ম্যাচে তিন জয়ে অবনমন অঞ্চল এড়াতে পেরেছে ব্রাদার্স।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত