শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আজ

খেলোয়াড় সংকটে আবাহনী!

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী লিমিটেড। শিরোপা নিশ্চিত করতে আর মাত্র একটা জয় প্রয়োজন আকাশি নীলদের। আজ বিকেএসপিতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হবে তারা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে খেলোয়াড় সংকটে পড়েছে আবাহনী। একাদশ সাজানো নিয়েই চিন্তায় পড়ে গেছেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। কারণ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ উপলক্ষ্যে ক্লাবটির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। আবার দুজন আছেন ইনজুরিতে। আগামী ৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ সামনে রেখে গত রোববার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে জায়গা পেয়েছেন আবাহনীর লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলাম। এরমধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদও ইনজুরিতে পড়ায় বেশ বিপাকে তারা। একাদশ সাজাতে তাই গতকাল সোমবার বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কিছু ক্রিকেটার অনুশীলনে নিয়ে আসেন সুজন। অনুশীলনের পর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন জোড়াতালি দিয়ে একটা দল করার চেষ্টায় আছেন তারা, ‘না আসলে ওই বয়স তো নাই (নিজেই নেমে যাবেন কি না)। মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। কঠিন (খেলে ফেলা), দল করাই কঠিন এখন। ১০ জন খেলোয়াড় নাই, খালেদ আর জয় ইঞ্জুরিতে। কাজেই ১২টা খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছ, এই ৬ জনের সঙ্গে আগে আমি এনেছিলাম আরও তিনজন, তাদের এনেছি। তাই ৯ জন আছে। দেখি আরও দুয়েকজন পাওয়া যায় কি না।’ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আবাহনী। বাকি তিন ম্যাচ হারলেও রানরেটে এগিয়ে তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকছে। শিরোপা শতভাগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটা জয়। অনেক খেলোয়াড় চলে গেলেও লড়াই করার মানসিকতা জারি রাখছেন আবাহনী কোচ, ‘যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব।’ শিরোপা জয়ের প্রত্যাশা করে সুজন বলেন, ‘ইচ্ছা তো ছিলো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকা অন্তত তিনজন খেলোয়াড় আবাহনীর হয়ে মঙ্গলবারের ম্যাচটি এসে খেলতে পারেন। তবে সুজন এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেননি, ‘আমি জানি না কেউ আসবে কি না। আমি আমার মতন যেখান থেকে পারি খেলোয়াড় নিয়ে আসছি।’ স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় নেয়ার সুযোগ থাকলেও প্রিমিয়ার লিগ বা প্রথম বিভাগ খেলেছেন এমন কাউকে নিতে পারবে না আবাহনী। কাজেই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ও বিভিন্ন একাডেমির খেলোয়াড় দিয়ে কাজ চালানোর চিন্তা তাদের, ‘প্রথম বিভাগ যারা খেলেছে তাদের নিতে পারব না। একদম নিবন্ধিত নয় এমন খেলোয়াড় নিতে হবে। আমি রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি দুজন। চেষ্টা করছি ১২-১৩ জন জোগাড় করতে। খালেদ আর জয় ইনজুরি না হলে এত সমস্যা হতো না।’