ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বিরাট’ জবাব দিলেন কোহলি

‘বিরাট’ জবাব দিলেন কোহলি

চলতি আইপিএলে রানের দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। ১ সেঞ্চুরি আর ৪ ফিফটিতে দখলে রেখেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্বীকৃতি অরেঞ্জ ক্যাপ। তারপরও সমালোচনায় বিদ্ধ ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার। কথা উঠছে তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে। অথচ গত রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও কোহলি ১৫৯ স্ট্রাইক রেটে ইনিংসে বল উড়িয়েছেন মাঠের নানা প্রান্তে। মোক্ষম সময়ে মাইক্রোফোন হাতে সমালোচনাকারীদের একহাত নিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। সঞ্চালকের প্রশ্ন যদিও ছিল ভিন্ন, কিন্তু তিনি সেখানে জবাব দিলেন স্ট্রাইক রেটের প্রসঙ্গ টেনে এনে। এদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৯ উইকেটের জয়ে নায়কদের একজন কোহলি। ২০১ রান তাড়ায় তিনিই মূলত এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে শেষ দিকে দুই ওভারের তাণ্ডবে শতরান করে আলোটা কেড়ে নেন উইল জ্যাকস। ৩১ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইংলিশ ব্যাটসম্যান পরের ১০ বলেই পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। কোহলি অপরাজিত রয়ে যান ৪৪ বলে ৭০ রান করে। এই ইনিংস দিয়ে একটি মাইফলকও ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। এবারের আইপিএল সবার আগে পৌঁছে যান ৫০০ রানের ঠিকানায়। টুর্নামেন্টে ৪৫০ রানও করতে পারেননি এখনও পর্যন্ত আর কেউ। তবে সেই ধাবাহিকতার প্রশংসার চেয়ে তার সমালোচনাই বেশি হচ্ছে স্ট্রাইক রেট নিয়ে। এই যুগের যে ধারা বা এবারের আইপিএলে ব্যাটিংয়ে যে দাবি, সেটা তিনি মেটাতে পারছেন না কিনা, প্রশ্নটি তুলছেন অনেকেই। কালকের ইনিংসের পর তার স্ট্রাইক রেট ১৪৭.৪৯।

টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অন্তত আড়াইশ রান করা ২৩ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল তিন জনের স্ট্রাইক রেট কোহলির চেয়ে কম সাই সুদার্শান, লোকেশ রাহুল ও শুবমান গিল। ম্যাচে তার ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য প্রশ্নের অবকাশ নেই। তবে আগের ম্যাচগুলোর কয়েকটিতে তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে যে নানা আলোচনা হয়েছে, তা কোহলির কানেও পৌঁছেছে। সেটির উত্তাপও পাওয়া গেল তার কণ্ঠে। ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার মুরালি কার্তিক প্রশ্ন করেন, ‘১৭ আসরে সপ্তমবার ৫০০ রান, বাকি ১০ আসরে ৪০০ রানের বেশি- আপনি কি এসব সংখ্যা কখনও তাকিয়ে দেখেন?’ এই প্রশ্নেই কোহলি টেনে আনেন স্ট্রাইক রেটের প্রসঙ্গ। ‘সত্যি বলতে, নাহ (তাকিয়ে দেখি না) যারা আমার স্ট্রাইক রেট ও স্পিন ভালো খেলি না বলে কথা বলে, তারা এসব নিয়ে কথা বলতেই ভালোবাসে। তবে আমার জন্য ব্যাপারটি হলো স্রেফ দলের জন্য ম্যাচ জেতা।

১৫ বছর ধরে যে কাজটা করে আসছি, নিশ্চয়ই সেটার পেছনে কারণ আছে। দিনের পর দিন এটা করছেন, দলকে জেতাচ্ছেন।’ এবং আমি ঠিক নিশ্চিত নই, আপনি নিজে কখনও এই পরিস্থিতিতে ছিলেন কি না যে বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে পারেন। আমার সত্যিই মনে হয় না, এটা একই ব্যাপার। আমার কাছে ব্যাপারটা হলো স্রেফ নিজের কাজ করে যাওয়া। লোকে খেলাটা নিয়ে তাদের ধারণা ও অনুমান নিয়ে কথা বলতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন যারা কাজটা করে, তারাই জানে কী হচ্ছে সেখানে। আমার জন্য এখন এটা অনেকটা ‘মাসল মেমোরির’ ব্যাপার।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত